ফরিদগঞ্জে বাবা-মাকে মারধর করে রক্তাক্ত করলো ছেলে

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে বৃদ্ধ মা- বাবাকে মারধর করে রক্তাক্ত করলো ছেলে এমন অভিযোগ করেছেন মা নাসিমা বেগম। এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ছেলের হাতে নির্যাতিত বৃদ্ধা মা নাসিমা বেগম (৬০) গোবিন্দপুর উত্তর ইউনিয়নের চির্কা চাঁদপুর গ্রামের মিজি বাড়ির (জগার বাড়ি) ইউনুস মিজির স্ত্রী।

২৯ এপ্রিল শনিবার রাত উপজেলার গোবিন্দপুর উত্তর ইউনিয়নের চির্কা চাঁদপুর গ্রামের মিজি বাড়ি (জগার বাড়িতে) এ ঘটনা ঘটে।

জানাযায়, শনিবার রাত ৯ টার সময় ছেলে ইকবাল বাজার থেকে এসে মামাদের বিষয় নিয়ে তার মায়ের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে মামাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করলে মা নাসিমা বেগম ভাইদের অপমানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে। পরে ছেলে ও তার স্ত্রী মিলে তর্কে জড়িয়ে পড়ার এক পর্যায়ে ছেলে ও তার স্ত্রী মিলে বৃদ্ধা বাবা- মাকে বেদম মারধর করে। পরে প্রতিবেশীরা বৃদ্ধা বাবা মাকে রক্তাক্ত অবস্থা ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়।

এ ব্যাপারে মামা মোখলেছুর রহমান জানান, আমার বোন নাসিমা বেগমকে প্রায় মারধর করে এর আগে ও তার বোন কে মারধর করার অভিযোগে স্থানীয় চেয়ারম্যান ইতি পূর্বে কয়েকবার বিচার সালীশ করলেও কোন কাজে আসেনি। ইকবাল আরও বেপরোয়া হয়ে পড়ে এবং হুমকি দিয়ে বলে তোরা আমাকে কিছুই করতে পারবিনা।

ইকবালের বাবা ইউনুস মিজি জানান, আমার ছেলে প্রায় আমাদেরকে মারধর করে। গত কাল আমার স্ত্রীকেও মারধর করে রক্তাক্ত করলে আমি বাধা দিলে আমাকে ধাক্কা দিয়ে ঘর থেকে ফেলে দেয়। আমি এমন ছেলের দৃষ্টান্ত মুলক বিচার চাই। যাতে করে সন্তানের হাতে কোন মা-বাবাকে হামলার স্বীকার না হতে হয়।
স্থানীয়রা জানান, এই ইকবালের ইতি পূর্বে কয়েকবার তার বাবা-মাকে মারধর করেছে। এখন আর কাওকে তোয়াক্কা করে না। ইকবালের স্ত্রীর কথায় ক্ষিপ্ত হয়ে বাবা মাকে মারধর করে।

মা-বাবাকে মারধর করার কারন জানতে চাইলে ইকবাল জানান, মা-বাবা এবং আমার মেজ ভাই আমাকে মেরেছে আমি চাঁদপুর সরকারী হাসপাতালে রয়েছি। আমি আমার মা-বাবাকে কখোনো মারধর করিনি।
এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনাচার্জ মোহাম্মদ শহীদ হোসেন জানান, মা-বাবাকে মারধরের বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

প্রতিবেদক: শিমুল হাছান, ৩০ এপ্রিল ২০২২

Share