ফরিদগঞ্জ

ফরিদগঞ্জে পাওনা টাকা ফেরত চাওয়ায় সংর্ঘষ ও ভাংচুর

চাঁদপুর ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৭নং পাইকপাড়া উত্তর ইউনিয়নের কামালপুর গ্রামে মুদি দোকানের বাকী টাকা ফেরত চাওয়াকে কেন্দ্র করে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ, দোকান থেকে অর্থ লুটপাট ও জোরপূর্বক দোকানে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এছাড়া সংর্ঘষের ঘটনার পরে রাতের আধাঁরে চলমান ইরি স্কিমের একটি সেচ পাম্প ও পাইপ ভাংচুরের ফলে ইরি ইস্কিমের আওতাধীন ৪৫ একর জমি চাষাবাদ বিপর্যয়ের মুখে রয়েছে।

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মো. ইউসুফ বাদী হয়ে চাঁদপুর আমলী আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।

মামলার বিবরণ ও সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, কামালপুর গ্রামের মো. আবুল কাসেমের দোকানে কেরাম বোর্ড খেলার গুটি নিয়ে প্রথমত ঘটনার সূত্রপাত। পরে এটি ভিন্ন দিকে মোড় নেয়।

কামালপুর গ্রামের মোহাম্মদ উল্যা, কাশেম, জসিম, জাহাঙ্গীর ও আল আমিন ২৫ ফেব্রæয়ারি রোববার বিকালে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে মামলার বাদীর ভাই মো. আবুল কাশেমের দোকানে হামলা করে।

এ সর্ম্পকে মো. ইউসুফ বলেন, আমার ভাই আবুল কাশেম এলাকায় মুদি দোকান ও দত্ত শোল্লা কৃষি ইরি স্কিম পরিচলানা করে আসছিলো। উল্লেখিত মোহাম্মদ উল্যা, কাশেম, জসিম আমার ভাইয়ের দোকান থেকে বাকীতে মালামাল নেয়। বাকী টাকা ফেরত চাওয়া ও তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের ওপর হামলা করে। হামলায় আমার মাথা ও শরীরে রক্তাক্ত জখম হয়।

এছাড়া তারা দোকানের ব্যানার ফেস্টুন ভাংচুর করে ও ৫০ হাজার টাকার মালামাল ক্ষতি করে এবং ক্যাশ থেকে ১১ হাজার টাকা নিয়ে যায়।

এছাড়া রাতের আধাঁরে ইরি স্কিমের মেশিন ভাংচুর করে ২০ হাজার টাকা ক্ষতি সাধন করে। প্রতিপক্ষের লোকজন আমাদের প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছে।

এ বিষয়ে স্থানীয় ওয়ার্ড আ’লীগের সভাপতি আ. মালেক জানান, দোকানদার আবুল কাসেম কামালপুর গ্রামে ৪৫ এক ইরি স্কিমের ম্যানেজার। এছাড়া রাতের আধারে কে বা কারা পাইপ ভেঙ্গে মেশিনের ক্ষতি করেছে তা কেউ বলতে পারছে না। এছাড়া বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় ভাবে মিমাংসার চেষ্টা চলছে।

দোকানদার আবুল কাসেম বলেন, আমার দোকানে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। দোকান থেকে নগদ অর্থ ও মালামাল লুটপাট করেছে চিহ্নিত কতিপয় সন্ত্রাসী। প্রতিপক্ষের হুমকি-ধামকিতে আমি বাড়ি ছাড়া। এছাড়া প্রতিপক্ষের লোকজন রাতের আধারে ইরি স্কিমের মেশিন ভাংচুর করেছে। যার ফলে পানি সরবরাহ করা যাচ্ছে না। এনিয়ে থানায় অভিযোগ দিয়ে প্রতিকার না পেয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেছি।

এদিকে প্রতিপক্ষ মোহাম্মদ উল্যা ও তার ভাই কাসেম বলেন, ওয়ার্ড মেম্বারের নির্দেশে দোকানে স্থানীয় লোকজন তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে। দোকানদার আবুল কাসেম মামলাবাজ লোক। তার বিরুদ্ধে নিজে ঘটনা ঘটিয়ে অন্যলোকদের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার বহু নজির রয়েছে।
অপরএকপ্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মেশিন ভাংচুরের মিথ্যা অভিযোগে আমাদের হয়রানি করার চেষ্টা চালাচ্ছে আবুল কাসেম। সে পুলিশের সামনে বাটখারা দিয়ে আমার ভাইয়ের মাথায় জখম করেছে। এনিয়ে আমরা থানায় মামলা দায়ের করেছি।

প্রতিবেদক : আতাউর রহমান সোহাগ, ফরিদগঞ্জ
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১০ : ৫৫ পি.এম ১মার্চ ২০১৮ বৃহস্পতিবার
এইউ

Share