অল্পের জন্য রক্ষা পেল অসহায় জহিরুল ইসলাম সোহেলের বসত ঘর। ফরিদগঞ্জ পৌর এলাকার দক্ষিন কেরোয়া গ্রামের মিজি বাড়িতে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মারধর এবং বসত ঘর পুড়িয়ে দেওয়ার জন্য ঘরে সঙ্গে থাকা পাতার বেড়ায় আগুন লাগিয়ে দেয়।
থানায় অভিযোগ ও এলাকাবাসী জানায়, ৫ জুন শুক্রবার রাতে রাব্বি হোসেন তার সাথে থাকা কতিপয় বখাটেদের নিয়ে জহিরুলের ঘরে ভাংচুর ও পরিবারের সদস্যদের উপর হামলা চালায়। এতে সে ক্ষান্ত না হয়ে ৬ জুন শনিবার সকালে রাব্বি হোসেন জহিরুলের ঘরের পাশে দাঁড়িয়ে সিগারেট খাচ্ছিল।
এক পর্যায়ে ঘরের পাশে থাকা পাতার বেড়ায় আগুন জ্বলতে দেখে জহিরুলের শিশু কন্যা রিয়া দেখতে পেয়ে তার ডাক চিৎকারে জহিরুলের স্ত্রীসহ স্থানীয় লোকজন আগুন নিবিয়ে পেলে। এ সময় অভিযুক্ত রাব্বি দৌড়ে পালিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে জহিরুল ইসলাম সোহেলের স্ত্রী হাওয়া বেগম জানায়, রাব্বির সাথে ডিসের তার নিয়ে কাঁটাকাটি হয়েছিল। সে ক্ষিপ্ত হয়ে ৫ জুন (শুক্রবার) রাতে আমাদের বসত ঘর ও আমাদের উপর হামলা চালায় এবং পরের দিন শনিবার সকালে আমার মেয়ে রিয়া ঘরের পাশে খেলছিল। এ সময় রাব্বিকে বেড়ার পাশে দাঁড়িয়ে সিগারেট খেতে দেখেছে এবং কিছুক্ষন পর ঘরের পাশে থাকা পাতার বেড়ায় আগুন জ¦লতে থাকায় রিয়ার ডাক চিৎকারে আমরা ও পাশ^বর্তী মাছের ঘেরে থাকা লোকজন এসে আগুন নিবিয়ে পেলে এবং রাব্বি দৌড়ে পালিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে রাব্বি জানায়, এ বিষয়ে আমি কিছুই যানিনা, ঐ দিন সকাল থেকে আমি ঘুমে ছিলাম, আমার বিরুদ্ধে যেই অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত।
এ বিষয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রকিব জানায়, এ বিষয়ে জহিরুল ইসলাম সোহেল থানায় অভিযোগ দিয়েছে। তদন্ত শেষে সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রতিবেদক:শিমুল হাছান,৭ জুন ২০২০