চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে শীর্ষস্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী আবু সাহেদ ওরুফে লাল বাদশা (৪৪) নিহত হয়েছেন।
নিহত আবু সাহেদ ওরুফে লাল বাদশা ফরিদগঞ্জ উপজেলার ১০নং গোবিন্দপুর ইউনিয়নের আব্দুর রশিদ ছৈয়ালের ছেলে। তিনি ৩ ছেলে সন্তানের জনক।
পুলিশ সূত্রে জানা যায, রোববার (২৭ মে) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে পুলিশ বাদশার সহযোগী আরেক মাদক ব্যবসায়ীকে ধরতে গেলে উভয় পক্ষের গুলি বিনিময়ে বাদশা নিহত হয়। পুলিশ নিহতের কাছ থেকে এক নলা একটি বন্দুক, ৪ রাউন্ড গুলি, ৩টি ককটেল ও ১ শ’ ১১ পিচ ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করে।
এসময় ৬জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ।
দেশের শীর্ষ সন্ত্রাসী পিচ্চি হান্নানের সহযোগী লাল বাদশার বিরুদ্ধে হত্যা, সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে বিভিন্ন থানায় ১০টি মামলা রয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
ফরিদগঞ্জ থানার ওসি মো. শাহ আলম জানান, ‘রোববার রাত সাড়ে ১০টার সময় বাদশাকে তার নিজ গ্রাম গোবিন্দপুর থেকে আটক করা হয়। তাকে নিয়ে রাত দেড়টার দিকে উপজেলার ৫নং গুপ্টি পূর্ব ইউনিয়নের বৈচাতলী গ্রামের হেলাল নামে আরেক মাদক ব্যবসায়ীকে আটকের অভিযান চালানোর সময় বেড়ির রাস্তার পাশে মাদক ব্যবসায়ীরা পুলিশের উপর গুলি ছুড়ে। উভয় পক্ষের গুলি বিনিময়কালে বাদশা ঘটনাস্থলে নিহত হয়।’
এসময় মাদক ব্যবসায়ীদের হামলায় পুলিশের এস আই সুমন চৌধুরী, বাবুল, সুমন রায়, কনস্টেবল আশরাফ ও দেলোয়ার গুরুত্বর আহত হয়।
থানা পুলিশ সূত্রে আরো জানা যায়, ২০১৭ সালের ১২ জুন রাতে থানা পুলিশের অভিযানে লাল বাদশা আটক হয়। ১১ মাস জেলে খাটার পর গত দেড় মাস পূর্বে লাল বাদশা কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে আবারো মাদক ব্যবসা ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সাথে জড়িয়ে পড়ে।
এদিকে হাসপাতালে লাল বাদশার লাশের সুরাতহালের সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও নির্বাহী কর্মকর্তা কর্মকর্তা এ এইচ এম মাহফুজুল রহমান ও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. জাহাংগীর আলম শিপন।
প্রতিবেদক- আতাউর রহমান সোহাগ