চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় নিহত দুধর্ষ ডাকাতের পরিচয় পাওয়া গেছে। ৩০ অক্টোবর (বুধবার) বিকালে ফরিদগঞ্জ থানায় চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাজীগঞ্জ সার্কেল) আফজাল হোসেন ও ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রকিব প্রেসব্রিফিং করে নিহত ডাকাতের পরিচয় তুলে ধরেন।
প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি জানান,সোনাগাজী থানার অফিসার ইনচার্জ মঈন উদ্দিনের নিকট থেকে ডাকাতের পরিচয় সর্ম্পকে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তার বাড়ি ফেনীর জেলার সোনাগাজী উপজেলার সফরপুর গ্রামের সে ওই গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে নিহত দুধর্ষ ডাকাতের নাম আব্দুল হাই ওরফে মিয়া ওরফে মিয়া ডাকাত (৪৮)।
তার বিরুদ্ধে সোনাগাজী থানায় ৪টি মামলা ও ফেনী সদর থানায় একটি মামলা রয়েছে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে প্রায় অর্ধশত ডাকাতির ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ রয়েছে।
বন্দুক যুদ্ধ ও অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশের এস আই আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে দ’ুটি অস্ত্র রাখার দায়ে ১৮৭৮ সালের অস্ত্র আইন ১৯-ধ/১৯(ভ) ধারায় মামলা নং-৩৭। তাং- ২৯/১০/২০১৯ মামলা দায়ের করেছেন। এ মামলায় বন্দুক যুদ্ধে নিহত অজ্ঞাত নামা ডাকাতসহ আরো একাদিক অজ্ঞাত ডাকাতদের আসামী করা হয়েছে।
নিহত আব্দুল হাই ওরফে মিয়া ডাকাতের বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধাসহ মারধর ও হত্যার চেষ্টার ঘটনায় ১৪৩/৩৩২/৩৩৩/৩৫৩/৩০২/৩৪ পেনাল কোডে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা নং-৩৬। তাং- ২৯/১০/২০১৯।
এ ব্যাপারে ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রকিব জানান, আমরা ডাকাতির ঘটনায় আগের দিন দায়ের করা মামলা ও মঙ্গলবার দিন দায়ের হওয়া দ’ুটি মামলা তদন্ত করছি। আশা করছি দ্রুতই ডাকাতির ঘটনার তথ্য উদঘাটন করতে সক্ষম হবো।
প্রসঙ্গত , রোববার রাতে ফরিদগঞ্জ উপজেলার পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের সাহাপুর গ্রামের তিন ঘরে ডাকাতির ঘটনার পরদিন সোমবার রাতে ডাকাতদল আবারো ওই এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতি কালে পুলিশের সঙ্গে বন্দুক যুদ্ধের ঘটনা ঘটে। অজ্ঞাত পরিচয়ের এক ডাকাত নিহত হয়। এ সময় পুলিশের এএসআই মঞ্জুর আলম ও দু’পুলিশ কনস্টেবল আহত হয়।
এ সময় ডাকাতদের ফেলে রাখা একটি পাইপ গান,৪ রাউন্ড কার্টুজ, ১টি রামদা,১ টি কুড়াল,১টি চাপাতি ও ১টি এম এম ষ্টিলের পাইপ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় ফরিদগঞ্জে কর্মরত সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
মো. শিমুল হাছান , ৩০ অক্টোবর ২০১৯