ফরিদগঞ্জ পৌর বাজারের কেরোয়া ব্রিজ সংলগ্ন স্থানে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ১২টি দোকান পুড়ে গেছে। এতে ৪০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তোভোগী ব্যবসায়ীরা।
শুক্রবার (২০ এপ্রিল) দুপুর পৌনে ২ টার দিকে এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে বাজারের বিভিন্ন মসজিদ থেকে ছুটে আসা মুসল্লি, ব্যবসায়ী ও স্থানীয় জনগনের প্রচেষ্টায় এক ঘন্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রনে আসে। ধারণা করা হচ্ছে লেপতোষকের দোকান থেকে এই অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হয়।
সরেজমিনে গেলে ফরিদগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী কমিটির সদস্য সচিব মো. জহিরুল ইসলাম বাবু ও কয়েকজন ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ী এ প্রতিনিধিকে জানান, অগ্নিকান্ডে ইব্রাহীম কনফেকশনারীর প্রায় ৫ লাখ, তৃপ্তি হোটেলের ১ লাখ, জিন্নাহ মুদি স্টোরের ৪ লাখ, আলতাফ লেপতোষক দোকানের ১ লাখ, খোরশেদ মুদি স্টোরের ৭ লাখ, ইসমাইল স্টিল ওয়ার্কসপ এর ৩ লাখ, ওহিদ সাইকেল স্টোরের ৫০ হাজার, কামালের চায়ের দোকানের ১ লাখ, লিটন সাইকেল স্টোরের ৫০ হাজার, টেলু সাইকেল গেরেজের ৫০ হাজার, জিন্নাহ ফার্মেসীর ১ লাখ, হাবীব ফার্নিচারের ৮ লাখ টাকার মালামাল ও অবকাঠামো পুড়ে ছাই হয়ে যায়। সব মিলিয়ে ক্ষতির পরিমান দাঁড়ায় প্রায় ৪০ লক্ষাধিক টাকা।
অপরদিকে অগ্নিকান্ড সংগঠিত হওয়ার পৌনে ১ ঘন্টা পর চাঁদপুর নতুন বাজার থেকে সহকারী স্টোর কিপার ফরহাদ উদ্দিনের নেতৃত্বে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে আসলেও বিক্ষুব্ধ জনতা তাদেরকে অগ্নিকান্ডের স্থানে যেতে দেয়নি।
ব্রিজের উত্তর পাশ থেকে জনগনের প্রতিবাদের মুখে তারা পিছু হটে। এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এএইচ এম মাহফুজুল রহমান ও ফরিদগঞ্জ থানার ওসি মো. শাহ আলম উপস্থিত ছিলেন।
বিক্ষুব্ধ ক’জন ব্যবসায়ী বলেন, ফরিদগঞ্জে কোন ফায়ার সার্ভিস স্টেশন নেই। ফায়ার সার্ভিস স্টেশন নির্মানের নামে অনেক রাজনীতি হয়েছে। কিন্তু জনগনের জানমাল রক্ষার স্বার্থে কেউই ফায়ার সার্ভিস নির্মানের কার্যত কোন উদ্যোগ নেয়নি।
আগুণ লেগে সব পুড়ে ছাঁই হওয়ার পর চাঁদপুর থেকে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি আসে আগুণ নিয়ন্ত্রন করতে। কিন্তু যা ক্ষতি হওয়ার তা আগেই হয়ে গেছে। পরে এসে লাভ কি?
এদিকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত জেলা পরিষদের সদস্য মো. মশিউর রহমান মিঠু, মো. সাইফুল ইসলাম রিপন, প্যানেল মেয়র মো. খলিলুর রহমান, সাবেক প্যানেল মেয়র জাকির হোসেন গাজীসহ বেশ কয়েকজন নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে ফরিদগঞ্জের মানুষের জানমাল রক্ষায় ফায়ার সার্ভিস স্টেশন নির্মানের দাবী জানান।
এর আগে ২০১৭ সালেও ব্রিজের দক্ষিণ পাড়ে অগ্নিকান্ডে দোকান পুড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
প্রতিবেদক : আতাউর রহমান সোহাগ