অবৈধ ভাবে প্রকাশ্যে ফসলি জমির মাটি কাটার কর্মযজ্ঞ চালাচ্ছে প্রভাবশালী মহল। চলছে ফসলি জমির মাটি কাটা মহা উৎসব। কৃষি জমি পরিণত হচ্ছে পুকুর-ডোবায়। দিন দিন ফসলের উৎপাদন কমছে, বেকার হচ্ছে কৃষক, নষ্ট হচ্ছে সড়ক, দূষিত হচ্ছে পরিবেশ।
মাটি পরিবহনে অবৈধ ভারী ট্রাক ও মাহেন্দ্র ট্রলি ব্যবহারে ইউনিয়ন ও গ্রামীণ সড়ক হচ্ছে ক্ষতিগ্রস্থ। আইন অমান্য করে এমনি কর্মকাণ্ড চলছে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়। ভেকু দিয়ে এ মাটি কাটছে। অবৈধ মাহেন্দ্র চলাচলে ধুলার কুয়াশায় ডেকে গেছে গোটা এলাকা।
সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, উপজেলার ১৫নং রুপসা উত্তর, ১৬নং রুপসা দক্ষিন, ৩নং সুবিদপুর, ৫নং গুপ্টি, ৮নং পাইকপাড়া ইউনিয়নে প্রকাশ্যে অবৈধ ভাবে চলছে ভেকু দিয়ে মাটি উত্তলন। এতে যেমন ফসলি জমি ক্ষতি হচ্ছে ঠিক তেমন নষ্ঠ হচ্ছে গ্রামীন সড়ক। উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশের নাম ব্যবহার করে চলে এই সকল ভেকু ও অবৈধ ট্রাক্টার এই বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি স্থানীয়দের।
স্থানীয় লোকজন বলেন, ফসলী জমি থেকে ভেকু দিয়ে মাটি কেটে নেওয়ার কারনে জমির উর্বরতা নষ্ট হয়ে যায়। এতে ফসল উৎপাদন কমে যায়। এই সকল ভেকু দিয়ে মাটি কাটা বন্ধের জোর দাবি জানাচ্ছি। এদিকে এইসকল মাটি নিতে ব্যবহারিত অবৈধ ট্রাকটারের কারনে নষ্ট হচ্ছে সড়ক। থানা পুলিশ মেনেজ করে চলে এইসকল ট্রাকটার। প্রথমে আটক করলে পরে টাকার বিনিময়ে তা ছেড়ে দেওয়া হয় বলে স্থানীয়রা জানান।
কয়েকজন ভেকুর মালিক বলেন, নিজের জমিতে নিজেরা মাটি কাটবে তাতে আপনাদের সমস্যা কোথায়। আমরা এই সকল মাটি কাটতে উপজেলা প্রশাসন ও থানা মেনেজ করে করতে হয়। আমরা সেটার নিয়ম মেনে কাজ করেছি। আমরা সব মেনেজ করে রেখেছি।
ফরিদগঞ্জ থানা অফিসার ইনর্চাজ আব্দুল মান্নান বলেন, আমরা এই বিষয়ে কিছুই জানিনা। তারা আমাদের না ব্যবহার করে এই কাজ করছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাছলিমুন নেছা বলেন, ‘যেই খানে এই ধরনের খবর পাই সেই খানে আমরা লোক পাঠিয়ে থাকি। কিন্তু ঘটনাস্থলে ভেকুর মালিকসহ কাউকে না পেলে আমরা আলামত নিয়ে আসি। আমরা কাউকে ছাড় দেইনা দেবো না। যারাই এই ধরেনর কাজ করবে তাদের বিরোদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
প্রতিবেদক: শিমুল হাছান, ১৫ জুন ২০২৩