উপজেলা সংবাদ

ফরিদগঞ্জে প্রার্থী বাছাইকালে দু’গ্রুপে সংঘর্ষ : আহত-১০

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলায় আওয়ামী লীগের দ্বিতীয় দিনের চেয়ারম্যান প্রার্থী বাচাইকে কেন্দ্র করে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে সাংবাদিক সহ ১০ ব্যক্তি আহত হয়েছে। এনিয়ে ওই সকল এলাকাতে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় নেতাকর্মী সূত্রে জানা যায়, বুধবার সকাল ১০টার সময় ৫নং গুপ্টি ইউনিয়ন পরিষদ কার্যলয়ে প্রার্থী বাচাইকে কেন্দ্র করে ইউনিয়ন আ’লীগের জরুরী বর্ধিত সভার আয়েজন করা হয়। সভায় উপজেলা আ’লীগের সভাপতি আবুল খায়ের পাটওয়ারী, সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়রাম্যান আবু সাহেদ সরকার, উপজেলা যুগ্ম সম্পাদক ওয়াহিদুর রহমান রানা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রিনা নাসরিনসহ উপজেলা ও ইউনিয়ন আ’লীগের নেতৃবৃন্দ। সভার শুরুতে ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড আ’লীগের সাধারন সম্পাদক মজনু বেপারীর বক্তব্যকে কেন্দ্র হট্টোগোল লেগে যায়।

এসময় চেয়ার ছোড়া ছুড়ি, ভাঙ্গচুরের ঘটনা ঘটে। অবস্থার অবনতি দেখে মাঝপথে সভা পন্ড গহয়ে যায়।

ওইদিন দুপুর ১২টার সময় ৬নং গুপ্টি পশ্চিম ইউনিয়ন আ’লীগের কার্যালয়ে সভা শুরু হওয়ার সাথে সাথে চেয়ারম্যান প্রার্থী বুলবুল সমর্থকরা পক্ষপাতিত্বেও অভিযোগ এনে ইউনিয়ন আ’লীগের নেতৃবৃন্দের উপর চড়াও হয়। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে সংর্ঘষ বেধে যায়। সংঘর্ষে ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি ইলিয়াস বেগ, মাসুদ আমিনসহ ১০ ব্যক্তি আহত হয়।

এসময় সভাস্থলে দেশীয় অস্ত্রের মহড়া দিয়ে আওয়ামী লীগের একটি গ্রুফ ককটেল বিষ্পোরন ঘটায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সবাইকে শান্ত করে। এবং পুলিশ পাহারায় ইউনিয়ন ও উপজেলা আ’লীগের নেতৃবৃন্দ সভাস্থল ত্যাগ করে।

দুপুর ২টায় ৭নং পাইকপাড়া উত্তর ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে ইাউনিয়ন আ’লীগের সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার শুরুতেই উপজেলা ছাত্রলীগের কতিপয় নেতা সভাস্থলে উপস্থিত হয়ে সভাস্থলে ভাংচুর চালায়।

এসময় চারদিকে আংতঙ্ক চড়িয়ে পড়ে। এসময় ওই ইউনিয়ন আ’লীগের নেতাকর্মীরা কিছুটা প্রতিরোধ করার চেষ্টা করে। উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা চলাকালে এক সাংবাদিক আহত হয়। পরবর্তীতে উপজেলা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থল ত্যাগ করলে তড়িঘড়ি করে নাম সংগ্রহ করে উপজেলা আ’লীগের নেতৃবৃন্দ সভাস্থল ত্যাগ করে।

সর্বশেষ ৮নং পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের আ’লীগের সভা শুরুর পূবেই আ’লীগ ও উপজেলা ছাত্রলীগের একটি গ্রুফ সভাস্থলের চেয়ার টেবিল ভাংচুর করে। এসময় আতংঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে উপজেলা আ’লীগ, ছাত্রলীগ ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে চলে যায়। সেখানে কোন সভা অনুষ্ঠিত হয়নি।

এদিকে আ’লীগের এই সভাকে ঘিরে প্রতিটি ইউনিয়নে সংঘর্ষের আশংকা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে অনুষ্ঠিত ১,২,৩ ও ৪নং ইউনিয়নে সংর্ঘষের ঘটনা ঘটে।

Share