চাঁদপুর জেলায় প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় জেলা করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক গত ১০ মে থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য শপিংমল,বিপণী বিতান, মার্কেট, দোকানপাট বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো. মাজেদুর রহমান খান।
এরই ধারাবাহিকতায় ফরিদগঞ্জ উপজেলা প্রসাশন লক ডাউন মানার জন্য প্রচেষ্টা করে যাচ্ছে। বার বার সতর্কতা করা সত্ত্বেও ফরিদগঞ্জ বাজারের অসাধু ব্যবসায়ীরা শপিংমল, বিপণী বিতান,দোকান পাট খোলা রাখছেন।
১৫ মে শুক্রবার ফরিদগঞ্জ বাজারের শপিংমল গুলোতে ক্রেতা এবং বিক্রেতাদের উপছে পড়া ভিড় দেখা যায়। সামাজিক দূরত্ব না মেনে এবং অনেকেই মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার না করে কেনাকাটা করছেন। গা ঘেষে নারী পুরুষ কেনাকাটায় মগ্ন। সঙ্গে শিশুরাও রয়েছেন।
দোকানের কর্মচারীরাও দূরত্বে বজায় না রেখে ক্রেতাদের সমাগম হচ্ছে।
উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নানা উদ্যোগ নিলেও তা কাজে আসছে না। মাইকিং, লিফলেট বিতরণসহ নিয়মিত পুলিশি টহল জোরদার অব্যাহত থাকলেও তা মানা হচ্ছে না ফরিদগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ীরা।
এদিকে বৃহস্পতিবার ফরিদগঞ্জ নির্বাহী কর্মকর্তা শিউলি হরির নির্দেশে উপজেলা প্রশাসন (এসিল্যান্ড) মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেকলাবাগান মার্কেটের ৪ ব্যাবসায়ীকে অর্থদন্ড দিলে আজও কিছু সংখ্যক দোকান খোলা রাখতে দেখা যায়।
ঈদের কেনাকাটা করতে আসা রুবেল নামের এক যুবক বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতির আগে বিয়ে করেছি। তাই নতুন শ্বশুর বাড়ির আত্মীয়-স্বজনদের জন্য কেনাকাটা করতে আসছি।’
ফরিদগঞ্জ বাজারের ক্রেতাদের এমন উপছে পড়া ভিড় এবং সামাজিক দূরত্ব না মেনে চলাচলের কারনে চাঁদপুরের ন্যায় ফরিদগঞ্জেওকরোনার পরিস্থিতি ভয়াবহতা সৃষ্টির আঙ্কাকা হতে পারে বলে মনে করছেন করছেন স্থানীয় প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ ও বিশ্লেষকরা।
ফরিদগঞ্জ করেসপন্ডেট,১৫ মে ২০২০