Home / উপজেলা সংবাদ / ফরিদগঞ্জ / ফরিদগঞ্জে প্রবাসীর ছুরিকাঘাতে দুই তরুণ আহত
প্রবাসীর

ফরিদগঞ্জে প্রবাসীর ছুরিকাঘাতে দুই তরুণ আহত

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আফ্রিকা থেকে আনা (ওকাপী নিপ) ছুরি দিয়ে দুই তরুণকে ছুরিকাঘাত করেছে আফ্রিকান প্রবাসী সাইফুল। ঘটনার পর থেকে ঘাতক পলাতক।

উপজেলার ১৪ নং ফরিদগঞ্জ (দক্ষিণ) ইউনিয়নের মদিনা বাজার এলাকায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই তরুণকে চুরিকাঘাত করে গুরুতর আহত করা হয়। আহত নাঈমুর রহমান অর্ক মজুমদার (১৬) ও মো. ফাহিম (১৬) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। ছুরির আঘাতে অর্ক মজুমদারের ভূড়ি বের হয়ে যায় এবং ফুসফুসে আঘাত পায় এবং মো. ফাহিমের পেট ফুটো হয়ে যায়।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ২০ ফেব্রুয়ারী সোমবার সন্ধ্যায় মদিনা বাজার সংলগ্ন সৈয়দ তাহেরী দাখিল মাদ্রাসার কাছে সাইফুল ইসলাম তানজিল গাজী(২২) চুরি দিয়ে আঘাত করে ২ তরুণকে রক্তাক্ত জখম করে।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সাইফুল ইসলামের বন্ধু রবিন এ প্রতিনিধিকে বলেন, সিফাত মৃধার কাছ থেকে কিছুদিন পূর্বে শামিম একটা ক্যামরা ক্রয় করে। ক্যামরা বিক্রি বাবদ সিফাত শামিমের কাছ থেকে ১৫শত টাকা পায়। দীর্ঘ দিন হয়ে গেলেও শামিম টাকা দেয়নি। এটা নিয়ে ১৯ তারিখ সিফাত শামিমকে একা পেয়ে মারধর করে। বিষয়টি শামিম তার বন্ধু রবিনকে জানায়। বিষয়টি নিয়ে ২০ তারিখ সন্ধ্যায় রবিন সিফাত আর শামিমকে নিয়ে বসে মিট করার জন্যে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় সাইফুল।

এদিকে গুরুতর আহত অর্ক মজুমদারের ২০ ফেব্রুয়ারী ছিলো জন্মদিন। বন্ধুদের নিয়ে জন্মদিন পালন করবে তাই জেঠাতো ভাই রবিনের কাছে গেলো কিছু টাকা আনতে। রবিন সিফাত আর শামিমকে নিয়ে মাঠে বসে আলাপ করতেছে। রাস্তায় অর্ক আর ফাহিম দাঁড়িয়ে রবিনের জন্যে অপেক্ষা করছে। এ সময় সাইফুল শামিমকে মারতে মাঠে প্রবেশ করতে চাইলে অর্ক এবং ফাহিম তাকে বাঁধা দেয়। এতে সাইফুল ক্ষিপ্ত হয়ে তার হাতে থাকা ছোট একটি চাকু দিয়ে অর্কের তল পেটে এবং বুকে আঘাত করে। এতে অর্কের পেটের ভূড়ি বের হয়ে যায়। ফাহিমের তলপেটেও আঘাত করে। তাদের দুজনকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে ফরিদগঞ্জ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক চাঁদপুর রেপার করেন। অর্ক ও ফাহিমের অবস্থা গুরুতর হওয়াতে সেখানেও না রেখে ঢাকা মেডিকেল কলেজে পাঠিয়ে দেয়।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত চিকিৎসক এ প্রতিনিধিকে বলেন- অর্কের অবস্থা গুরুতর। তার ফুসফুসে আঘাত লাগার সম্ভাবনা আছে।

ঘটনাস্থলে গিয়ে সাইফুল এবং তার বাবা বা ভাই কাউকেই পাওয়াহ যায়নি। সাইফুলের ভাবী সাংবাদিক দের বলেন- আমি কিছু জানিনা। আমি ছিলাম বাপের বাড়ি। খবর শুনে আসছি। তবে স্থানীয়রা জানান, ঘটনার পর থেকে তারা ঘাঁ ডাকা দিয়েছে।
ঘাতক সাইফুল গত প্রায় তিন মাস পূর্বে সাউদ আফ্রিকা থেকে দেশে আসে। সাইফুল হর্নী দূর্গাপুর এলাকার গাজী বাড়ির মোঃ তাজুল ইসলাম গাজীর ছোট ছেলে।

গুরুত্বর আহত অর্ক হর্নী দূর্গাপুর এলাকার মিজান মজুমদারের ছোট ছেলে এবং ফহিম একই এলাকার ঘোষ বাড়ির শাহজাহান মিয়ায় ছোট ছেলে।

এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আব্দুল মান্নান জানান, ঘটনাটি শুনেছি এবিষয়ে কোন অভিযোগ পাইনি অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

প্রতিবেদক: শিমুল হাছান, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩