ফরিদগঞ্জে প্রতিবন্ধী যুবতীকে গনধর্ষণ, ৩ বখাটে আটক

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী যুবতী(২১)কে গনধর্ষণের অভিযোগ তিন বখাটে যুবককে আটক করেছে পুলিশ।

পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদের নির্দেশে ২৫ মে বুধবার রাতে ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শহীদ হোসেন ও তদন্ত (ওসি) প্রদীপ মন্ডল সঙ্গীয় ফোর্সসহ  উপজেলার পৌর এলাকার পূর্ব বড়ালী গ্রামে অভিযান পরিচালনা করে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী যুবতীকে গনধর্ষণের অভিযুক্ত তিন বখাটকে আটক করেছে।

বুদ্ধি প্রতিবন্ধী যুবতীকে গনধর্ষণের তিন বখাটেরা হলেন, পৌর এলাকার পূর্ব বড়ালী গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের ছেলে মো. সাকিব(১৯), মাগুরা জেলার শালিখা উপজেলার হরিশপুর এলাকার ইছা মোল্লার ছেলে সুজন মোল্লা(১৯) এবং নোয়াখালী জেলার (দরবেশ বাজার, চরজব্বর থানা) সুবর্ণচর উপজেলার হাজীপুর এলাকার মো. সেলিম মিয়ার ছেলে মো. শাহিন(২২)।

পুলিশ সূত্রে জানাযায়, গত ২০ মে শুক্রবার রাতে পূর্ব বড়ালী এলাকার হারুন গাজীর গরুর খামারে পাশে ইব্রাহীম গাজীর খেরের গাঁদায় নিয়ে ওই মেয়েকে পালাক্রমে তিন যুবক ধর্ষণ করে।

পুলিশ আরো জানায়, হারুন গাজীর গরুর খামারে কাজের সুবাদে সুজন মোল্লা ওই মেয়েটির সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। এরপর সুজন মেয়েটির সাথে শারীরিক সম্পর্ক করার সময় তার সহপাঠি শাহিন দেখে পেলে।

এরপর শাহিন সুজনকে  মেয়েটির সাথে শারীরিক সম্পর্ক করাতে বাধ্য করে।

এসময় স্থানীয় যুবক মো. সাকিব এই ঘটনা দেখে পেলে এবং একই কায়দায় মেয়েটিকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এরপর তিন বখাটে তাদের স্ব-স্ব অবস্থানে চলে যায়।

এ ঘটনায় মেয়েটি তাৎক্ষনিক তার পরিবারের কাছে কিছু না বললেও পরে যখন মেয়েটি শারীরিক সমস্যা অনুভব করে তখন মেয়েটি তার মায়ের কাছে বিষয়টি খুলে বলে।

মেয়ের মা বিষয়টি জানার পর পুলিশকে অবহিত করলে, পুলিশ সাথে সাথে এলাকাবাসীর সহযোগীতায় তিন বখাটকে আটক করে।

এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শহীদ হোসেন জানান, ধর্ষণের সংবাদ শুনে অভিযান পরিচালনা করে আমার তিন ধর্ষককে আটক করেছি ও ভিকটিম মেয়েটিকে ডাক্তারী পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছি এবং ধর্ষণ মামলায় তিন ধর্ষককে আদালতে প্রেরন করেছি।

প্রতিবেদক: শিমুল হাছান, ২৫ মে ২০২২

Share