ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশেরে ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি ফেক আইডির মাধ্যমে অপপ্রচারের অভিযোগ উঠেছে।
ফেক আইডিতে দেয়া পোস্টটি করার সঙ্গে সঙ্গে ভাইরাল হয়ে যায়। ওই পোস্টে থানার অফিসার ইনচার্জ এর নাম উল্লেখ করে একটি অনৈতিক অভিযোগ আনা হয়েছে। এতে কোনো যাচাই বাছাই ছাড়াই চলছে নানা মন্তব্য ও আলোচনা সমালোচনা ।
খবরের সত্যতা জানার জন্য ২৯ এপ্রিল বুধবার থেকে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এলাকায় ঘুরে ও খোঁজ নিয়ে অভিযোগের কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। এক পর্যায়ে এলাকাবাসী অভিযোগটিকে গুজব ও অপপ্রচার বলে আখ্যা দিয়েছেন। করোনা মহামারি মোকাবেলার মধ্যে পুলিশের মনোবল ভেঙ্গে দেয়ার ষড়যন্ত্র কী না এমন প্রশ্নও করেছে অনেকে।
ফেইসবুকের ওই পোস্টে অভিযোগ করা হয়েছে ত্রাণ দেয়ার নামে থানার অফিসার ইনচার্জ এক নারীর সঙ্গে অনৈতিক আচরণ করেছেন। বলা হয়েছে ওই নারীর বাড়ি উপজেলার ৮নং পাইকপাড়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডে। পোস্টে নারীর নাম সালমা (১৯) ও তার বাবার নাম রফিকুল ইসলাম (৫৬) এবং বাবা পেশায় একজন চা দোকানী উল্যেখ করা হয়েছে।
কিন্তু উল্যেখিত ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডের খোঁজ নিয়েও চায়ের দোকানী রফিকুল ইসলাম নামের কোনো ব্যক্তিকে পাওয়া যায়নি, এমনকি ৮ নং পাইকপাড়া দক্ষিন ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডে সালমা (১৯). পিতা: রফিকুল ইসলাম নামের কারও সন্ধান মেলেনি।
কথা হয় স্থানিয় মেম্বার আলী হায়দার উজ্জ্ব্বল পাটওয়ারী ও এলাকাবাশী তোফায়েল পাটওয়ারী ও তুহীন বেপারী, মানিক মিয়াসহ অনেকের সঙ্গে, তারা জানায় আমাদের এলাকায় সালমা পিতা রফিকুল ইসলাম নামে কেউ নেই, আমাদের ধারণা পুলিশ কর্মকর্তার সন্মানহানি করার জন্য কেউ এই অপপ্রচার চালাচ্ছে।
এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ সূত্রে জানাগেছে ফেইসবুকের ওই ফেইক আইডির বিষয়ে তদন্ত চলছে।
প্রতিবেদক:শিমুল হাছান,৩০ এপ্রিল ২০২০