চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে আওয়ামী লীগ নেতার ছেলের হামলায় থানা পুলিশের এক এএসআই আহত হয়েছেন। আহত এএসআই সুমন চৌধুরীকে ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ জুন ২০১৮ খ্রি.) দুপুরে এ ঘটনা ঘটেছে উপজেলার বদরপুর গ্রামে। হামলাকারীর নাম সুজন পাটওয়ারী।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানিয়েছেন, ১৫ নং রুপসা উত্তর ইউনিয়ন বদরপুর গ্রামের রশিদ পাটওয়ারীর ছেলে সুজন পাটওয়ারী (৩২)।
তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, মাদক ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের অভিযোগ রয়েছে। পর পর দুইদিন দুইটি অভিযোগের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার বেলা প্রায় ১টা নাগাদ থানা পুলিশ এলাকায় তদন্ত করছিলো।
এ সময় সুজন একটি চাকু হাতে নিয়ে অতর্কিতে এএসআই সুমন চৌধুরীর উপর হামলা করে। সে সুমন চৌধুরীর পিঠে ছুরি দ্বারা আঘাত করে। সুমন চৌধুরী তাকে ঝাপটে ধরলে সে সুমন চৌধুরীর দুই হাতে কামড়ে পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা ছুটে গিয়ে সুজনকে ধরে ফেলে।
পরে তাকে আটক করে ফরিদগঞ্জ থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে।
এলাকাবাসী জানিয়েছে, গত দুইদিন পূর্বে রোববার বিকালে আটককৃত সুজন পাটওয়ারী ভূমি বিরোধের জের ধরে তার প্রতিবেশি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সুমন পাটওয়ারীর ঘরে ঢুকে রাম দা দিয়ে আঘাত করেন এবং বসতঘরের জানালা ভাংচুর করে। এতে সুমন পাটওয়ারী গুরুতর আহত হন। এ নিয়ে তিনি সংশ্লিষ্ট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
পরদিন সোমবার রাতে ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন একই গ্রামের দর্জি মো. জাহিদ গাজীর কাছে চাঁদা দাবী করেন সুজন। এ ঘটনায় জাহিদ গাজী থানায় সাধারণ ডায়েরী করেন। এলাকাবাসী সুজন পাটওয়ারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেছেন।
তার বাবা রশিদ পাটওয়ারী সংশ্লিষ্ট ১৫নং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হওয়ার সুবাদে ভূক্তভোগীরা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিয়ে সংঙ্কিত। এসর্ম্পকে সুমন পাটওয়ারীর এ চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, অদৃশ্য কারণে পুলিশ আমার উপরে হামলা ও বসত বাড়ি ভাংচুরের মামালা নিচ্ছে না।
এএসআই সুমন চৌধুরী তার উপর হামলার কথা শিকার করে বলেন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া অমি কিছু বলতে পারবো না।
এ ব্যাপারে থানার ওসি মোহাম্মদ শাহ আলম জানিয়েছেন, ‘আটককৃত সুজন পাটওয়ারীর বিরুদ্ধে এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ড, মাদক সেবনসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’
এদিকে অসমর্থিত একটি সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় একটি প্রভাবশালীমহল সুজনকে ছাড়িয়ে নেয়ার জন্যে জোর তদবির চালাচ্ছেন।
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, ফরিদগঞ্জ