শশুর বাড়ির ‘নির্যাতনে’ রিনা বেগম (২২) নামে আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ গুরতর আহত হয়ে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত ১৮ জুন শনিবার সকালে ফরিদগঞ্জ উপজেলার চির্কা চাঁদপুর গ্রামে ।
নির্মম নির্যাতন দেখে বোনকে বাঁচাতে গিয়ে শশুর বাড়ির লোকজনের হামলায় তার ছোট ভাই ইয়াসিন (১৮)ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আহত রীনা বেগম জানায় ‘প্রায় ১২ বছর পূর্বে একই গ্রামের নুরুজ্জামানের পুত্র এমরান বেপারীর সাথে পারিবারিকভাবে তার বিয়ে হয়। তার পিতা এসহাক গাজী তার স্বামীকে যৌতুক হিসেবে নগদ ২ লাখ টাকা, স্বর্ণালংকার এবং ফার্নিচার দেন। তারপর ও রিনা বেগমের স্বামী এমরান হোসেন যৌতুকের জন্য তাকে অনেক মারধর করতো। এভাবেই চলতে থাকে তাদেও সংসার জীবন। তাদের ঘরে বিথী ৬ ও স্মৃতি ৫ নামে দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে। দুটি কন্যা সন্তনি থাকা সত্ত্বেও গত এক বছর আগে এমরান হোসেন কাউকে না জানিয়ে ঢাকায় আরেকটি বিয়ে করে। এতে তাদের পারিবারিক কলহ আরেক ধাপ বেড়ে যায়।
রীনা আরো জানায়, ঘটনার দিন শশুর বাড়ি থেকে তার মেয়েকে আনতে গেলে শশুর বাড়ির লোকজন তার সাথে ঝগড়ায় লিপ্ত হয়। একপর্যায় তার ভাসুর কুদ্দুস, কাদির, জা নাজমা ও শাশুড়ী রঙ্গু বেগম তাকে বেধরক মারধর করতে থাকে। হত্যার উদ্দেশ্যে ভাসুর কুদ্দুস তার মাথায় ছুরিকাঘাত করে এবং তার পেটে আঘাত করে। এতে রিনা বেগম গুরুতর আহত হলে তার ছোট ভাই ইয়াসিন তাকে বাচাতে গেলে তারা তাকেও মারধর করে। বর্তমানে তারা দু জনেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
রিনার মা জানান সে আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা। রীনার পেটে আঘাতের পর থেকে বাচ্চার নড়াছড়া দেখতে না পেয়ে কিছুটায় শংকায় রয়েছে পরিবার।
প্রতিবেদক- কবির হোসেন মিজি
চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur