ফরিদগঞ্জে বাজার মনিটরিং না থাকায় নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম কৃত্তিম ভাবে লাগামহীন ঘোড়ার মতো বৃদ্ধি পাওয়ায় সাধারন মানুষ দিশেহারা, প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে বিভিন্ন মহলে চলছে তীব্র সমালোচনা।
সরজমিনে বাজার গুরে দেখা যায়, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রীর দাম স্বাভাবিক রাখতে সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে নির্দেশনা থাকলেও মাঠ পর্যায়ে তা কার্যকর ভূমিকা দেখা যাচ্ছেনা। উপজেলা অন্যতম ঐতিহ্যবাহী ফরিদগঞ্জ বাজারসহ গৃদকালিন্দিয়া, রুপসা, চান্দ্রা, গাজীপুর, মুন্সিরহাট সহ সকল বাজার গুলোতেই ব্যবসায়ীরা নিত্যপ্রয়োজনীয় পন্যের সংকট দেখিয়ে দ্বিগুন দামে বিক্রয় করে আসছে। প্রশাসনের নাকের ডগায় বসে ব্যবসায়ীদের এহেন কার্যকলাপ জনমনে তীব্র সমালোচনার ঝড় বইছে।
বাজারে প্রতিবস্তা চালের মূল্য ৪০০-৬০০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া ফার্মেসী গুলোতে মাক্স ও প্রয়োজনীয় হাইজিনিক পন্য সামগ্রী নেই বললেই চলে। পেয়াজ প্রতি কেজিতে ১৫-২০, আলু ৭-৮, রসুন ২৫-৩৫, মশুর ডাল ২৫-৩০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে ব্যবসায়ীরা জানায়। তবে সরকারের পক্ষ থেকে বিপুল পরিমান খাদ্য মজুদের ঘোষনা আসলেও বাজার ঘুরে আসার পর তার কোন মিল পাওয়া যায়নি। ব্যবসায়ী এহেন খামখেয়ালী, প্রশাসনের নিরব ভূমিকায় সরকারের অগ্রযাত্রাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে বলে সচেতন মহল মনে করেন।
নিত্যপন্যের মূল্যবৃদ্ধির কারন জানতে চাইলে, মেসার্স রশিদ মুন্সী ষ্টোর এর স্বত্ত্বাধিকারি আ:রশিদ বলেন, আড়ৎদাররা চালের দাম বেশি রাখায় আমরা বেশি দামে বিক্রি করছি।
পেয়াজে আড়ৎদার নয়ন বলেন, গতকাল এবং আজ পেয়াজ বিক্রি করেছি ৩০-৩২ টাকায়, আর এখন বিক্রি করছি ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়, কি কারনে দাম বেড়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মাল নেই তাই দাম বেশিতে বিক্রি করতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মাজেদুর রহমান খান মুঠোফোনে চাঁদপুর টাইমসকে জানান,‘আমাদের মোবাইল টিম বাজার মনিটরিংয়ে রয়েছে। সংশ্লিষ্ট ইউএনও কে অবহিত করেন।’
শিমুল হাছান,২০ মার্চ ২০২০