ফরিদগঞ্জ বাজারে এক দোকানে চুরির অভিযোগ উঠেছে এক দোকানির বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী দোকান মালিকের নাম সিদ্দিকুর রহমান জুয়েল। অভিযুক্ত ব্যবসায়ীর নাম নুরুল আমিন নুরু। পূর্ব বাজার মোড়ে বাজারের পাটওয়ারী সুপার মার্কেটে এ ঘটনা ঘটেছে শুক্রবার জুম’আর নামাজের সময় বেলা প্রায় আড়াই ঘটিকায়।
ভূক্তভোগী দোকানী সিদ্দিকুর রহমান জুয়েল (৪৫) বলেছেন, আমার দোকানের নাম হোসেন এন্টারপ্রাইজ। এখানে ক্রোকারিজ মালামাল বিক্রি করি। ঘটনারদিন শুক্রবার। দোকানের সামনে কিছু মালামাল রেখে বেড়ার মতো দিয়ে জুম’আর নামাজের জন্য দুই টা ৩২ মিনিটে মসজিদে যাই। ফিরে এসে আমার দোকানের সিসি ক্যামেরা রিভিউ করে দেখি আমার সামনের দোকানী নুরুল আমিন নুরু (৫৫) আমার দোকানে ঢুকেছেন। ভেতরে এদিক ওদিক ঘুরেছেন। এরপর তিনি সাজিয়ে রাখা কয়েকস্তুপ থেকে প্লেট তুলে হাতে নিয়ে দোকান থেকে বের হয়ে যান। এ কাজটি করেছেন প্রায় ছয় মিনিট যাবত। এক পর্যায়ে আমার দোকানের সিসি ক্যামেরা অফ করা হয়েছে। তিনি বলেন, এর আগেও আমি দোকান থেকে বের হয়ে কিছু সময়ের জন্য কোথাও গেলে ফিরে এসে মালামাল এলোমেলো দেখেছি। তখন ঘটনাগুলো তিনি সরল মনে নিয়েছি।
এছাড়া, আমার পাশের দোকানেও বিভিন্ন সময়ে চুরির ঘটনা ঘটেছে। সিসি ক্যামেরায় ধরা পরার পর ধারণা করছি একই লোক ওইসব কাজ করেছেন। শুক্রবার রাত পৌনে ১২টার দিকে অভিযুক্ত নুরুল আমিন নুরু আমার বাড়ি গেয়ে আপোস করার চেষ্টা করে। আমি বলেছি, ব্যবসায়ী কমিটির মাধ্যমেই সমাধান হবে। চুরির মালামাল (৩৮ টি প্লেট) আমি ফেরত নেইনি। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, শুক্রবার চুরির ঘটনায় ওইদিনই আমি ব্যবসায়ী কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদকসহ কমিটির কাছে মৌখিকভাবে বিচার চেয়েছি। তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী আজ (শনিবার) রাতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করবো।
এদিকে, পাশ্ববর্তী ক্রোকারিজ ব্যবসায়ী আবদুল গাফফার (৬২) বলেছেন, আমার দোকানেও বিভিন্ন সময়ে চুরির ঘটনা ঘটেছে। একদিন, একটি র্যাক পাচ্ছিলাম না। পরে, একজনকে ধারণায় নিয়ে তার বাড়ি যাই। তিনি স্বীকার করেছেন নুরুল আমিন নুরু ওই র্যাক বিক্রি করেছেন। পরে, র্যাকের মূল্য আমাকে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।
অভিযুক্ত নুরুল আমিন নুরুর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেছেন, আমি ১৮ পিস প্লেট নিয়েছি। আগেও নিয়েছি এবং বলেছি।
শুক্রবার নেয়া প্লেট ফেরত দিয়েছেন কি না। এমন প্রশ্নে তিনি বলেন হ্যাঁ, ফেরত দিয়েছি। মালিকের অনুপস্থিতিতে দোকানে প্রবেশ করা ঠিক কি না। এমন প্রশ্নে তিনি সদুত্তর দিকে পারেননি। জবাবে, সিদ্দিকুর রহমান জুয়েল বলেছেন, তিনি আমার মালামাল ফেরত দেননি। দিলে, গভীর রাতে আমার বাড়ি গিয়ে আপোস করতে চাইলেন কোনো।
এ ব্যপারে ব্যবসায়ী কমিটির সভাপতি ফারুকুল ইসলাম ফারুক, সহসভাপতি আলী হায়দার পাঠান টিপু ও মাসুদুর রহমান মাসুদ, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, আবদুস সালাম, আকিব উল্লা প্রমুখ অভিযোগকারীর দোকানে গিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ শুনেছেন ও সোম অথবা মঙ্গলবারে বিচারের আশ্বস দিয়েছেন।
এ ব্যপারে শনিবার রাত আনুমানিক আট ঘটিকায় অন্যান্য সদস্যদের সামনে সভাপতি ফারুকুল ইসলাম ফারুক বলেছেন, চৃুরির অভিযোগটি শুক্রবারই আমরা পেয়েছি। আজ সরেজমিন শুনলাম। লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর উপযুক্ত বিচারের ব্যবস্থা করা হবে।
এ ব্যপারে ফরিদগঞ্জ থানার পৃুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) প্রদীপ মন্ডল বলেছেন, এমন কোনো অভিযোগ আমরা পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রতিবেদক: শিমুল হাছান, ৭ মে ২০২২