ফরিদগঞ্জ

ফরিদগঞ্জে দুর্বৃত্তদের আগুনে ছাগলের খামারির স্বপ্ন পুড়ে ছাই

ফরিদগঞ্জে রাতের আঁধারে একটি ছাগলের খামার পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এ ঘটনায় দিশেহারা খামার মালিক দারিদ্র্য আব্বাছ উদ্দিন।এ ঘটনায় কমপক্ষে তিন লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন খামারি।

এটি কোনো বর্বরতার বহিঃপ্রকাশ কি না- এমন ধারণা করছেন এলাকাবাসী। খামারে থাকা ৮টি জীবন্ত ছাগল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে, স্তব্ধ হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী। ঘটনা ঘটেছে উপজেলার লাড়ুয়া গ্রামে। দোষীদের চিহ্নিত করে বিচার ও আইনের আওতায় নিতে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশের স্মরণাপন্ন হয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত খামারি আব্বাছ উদ্দিন ।

অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার ১২নং ইউপির লাড়ুয়া গ্রামের নূর মোহাম্মদের ছেলে আব্বাছ উদ্দিন (৩৫)। বাড়ির পার্শ্ববর্তী ডাকাতিয়ার পাড়ে ভূঁইয়া গাজী বাড়ির পার্শ্বে একটি ছাগলের খামার গড়ে তুলেছেন তিনি। খামারে পর্যায়ক্রমে ৮টি ছাগল লালনপালন করছিলেন। গত কয়েক বছর পূর্বে গড়ে তোলা খামারের আয়ে তার ছোট সংসার চলছিলো। এর মধ্যে তিনটি বকরী ছাগল গর্ভবতী হয়। তিন মাসের মধ্যে বাচ্চা প্রসব করার সময় নির্ধারণ ছিলো। খামার নিয়ে তার আনন্দ ও স্বপ্নগুলো আরও বড় হয়ে উঠছিলো।

রাতের অন্ধকারে আগুনের লেলিহান শিখায় আব্বাছ উদ্দিনের সকল স্বপ্ন নিমেষেই শেষ হয়ে গেল এবং তার সঙ্গেই নিভে গেল আশার বাতি। আব্বাছ উদ্দিনের পরিবার সদস্যদের চোখেমুখে বিষাদের কালো ছায়া নেমে এসেছে।

এলাকাবাসী স্তব্ধ হয়ে গেছে। এমন ঘৃণ্য কাজটি কী কোনো ব্যক্তি করেছে, না কী কাকতালীয়- এমন প্রশ্ন এলাকার সকলের মধ্যে।

খামার মালিক আব্বাছ উদ্দিনও এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাচ্ছেন না। তাই তো, তিনি ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশের স্মরণাপন্ন হয়েছেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, খামারে আগুন লাগতে আমি দেখিনি। তাই কারও নাম বলতে পারছি না। তার দাবী, যদি কেউ আমাকে পথে বসাতে এমন কাজ কোরতে পারে , যারা আমার সঙ্গে এই কাজ করেছে আমি তাদের বিচার চাই।

বুধবার বিকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ফরিদগঞ্জ থানার এ.এস.আই. সাইদুল হক তিনি বলেছেন, প্রাথমিক তদন্তে আগুন লাগার ঘটনাটি সত্যতা পাওয়া গিয়েছে, রাতের অন্ধকারের এ ঘটনার কারণ এখনও জানা যায়নি।

শিমুল হাছান

Share