ফরিদগঞ্জে দুই ভাইয়ের দাফন সম্পন্ন, এলাকায় শোকের ছায়া

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে আকস্মিক মৃত্যুর শিকার দুই সহোদর রুবেল ও সোহেল এর আজ বাদ এশা নামাজে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়েছে। এতে ইমামের দায়িত্ব পালন করেন হোজাইফা আহমেদ সিদ্দিকী, জৈনপুরী ভারত। মৃত দুই সহোদরের বাড়ি ফরিদগঞ্জ পৌর এলাকার কাছিয়াড়া গ্রামে ও ওয়াপদা অফিসের দক্ষিণ পাশে। তাদের বাবার নাম মৃত বিল্লাল হোসেন।

স্থানীয় ওয়াপদা মাঠে নামাজে জানাজা অনুষ্ঠানে দূর দূরান্ত থেকে ছুটে আসা হাজারও মানুষ অংশ গ্রহণ করেন। দুই ভাইয়ের আকস্মিক মৃত্যুতে জানাজ অনুষ্ঠানে আগত মানুষ শোকে মুহ্যমান হন। জানাজায় সর্বস্তরের মানুষ অংশ গ্রহণ করেন।

এতে, অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত থেকে ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শহীদ হোসেন, সাবেক পৌর মেয়র মঞ্জিল হোসেন ও মাহফুজুল হক, জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য মো. মশিউর রহমান মিটু, কাউন্সিলর জাকির হোসেন গাজী প্রমুখ দুই সহোদরের রূহের মাগফিরাত কামনা ও শোক সন্তপ্ত পরিবার সদস্যদের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেন।

এছাড়া, জানাজা অনুষ্ঠানে সময় টিভি ও কালের কন্ঠ পত্রিকায় চাঁদপুর জেলা থেকে কর্মরত স্টাফ রিপোর্টার ফারুক আহম্মদ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, এলাকার লোকজন জানিয়েছেন, বৃষ্টি থেমে যাওয়ার পর সকাল আনুমানিক আট ঘটিকায় রুবেল হোসেন (২৮) বাড়ির পুকুরপাড়ে উজানের কৈই মাছ খুঁজতে যান। দুই ঘণ্টা পরও রুবেল ঘরে ফিরে না যাওয়ায় ছোট ভাই সোহেল রানা (২৬) খুঁজতে বের হয়ে পুকুর পাড়ে রুবেল হোসেনের মৃত দেহ পড়ে থাকতে দেখে সোহেল রানা চিৎকার শুরু করেন। এ সময়ে সোহেলও নিস্তব্ধ হয়ে পাশে পড়ে যান। চিৎকার শুনে বাড়ির ও আশপাশের লোকজন ছুটে গিয়ে ভাইদের দেহ ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
সেখানে  কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাক্তার মোজাম্মেল হেসেন বলেন, হাসপাতালে নেয়ার আগেই দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, হয়তো হৃদযন্তের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তাদের মৃত্যু হতে পারে।

সূত্র জানিয়েছে, শিশু বেলায় তাদের বাবা মৃত্যুবরণ করেন। বিধাব মা দুঃখকষ্ট সঙ্গী করে সন্তানদের লালনপালন ও কর্মক্ষেত্রে পবেশ করান। সন্তানদের এমন মৃত্যু সইতে না পেরে তিনি ও ছোট ছেলে আরিফ (১৮) বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন।

এদিকে, দুই ভাইয়ের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।

ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শহীদ হোসেন জানান, দুটি মৃতদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। কি কারণে রুবেলের মৃত্যু হয়েছে তা জানার জন্য তার মৃতদেহ পোস্টমর্টেমের জন্য পাঠানো হয়েছে এবং সোহেলের লাশ পরিবারের লোকজনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, মৃত দুজনের শরীরের কোথাও জখম কিংবা আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে, মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হতে রুবেল হোসেনের মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে।

প্রতিবেদক: শিমুল হাছান, ৪ মে ২০২২

Share