চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরী কাম প্রহরী নিয়োগ নিয়ে ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। জালিয়াতির মাধ্যমে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরী কাম প্রহরী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন এক মুক্তিযোদ্ধা।
এদিকে এনিয়োগ নিয়ে নিয়োগ প্রার্থীসহ সংশ্লিষ্টদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে দপ্তরী কাম প্রহরী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আলোচনা-সমালোচনার ঝড় চলছে।
জানা যায়, গত ২৩ জুলাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নিয়োগ কমিটির সভাপতি এএইচএম মাহফুজুর রহমানের স্বাক্ষরিত পত্রের মাধ্যমে ৫৬ টি বিদ্যালয়ের মধ্যে ৫৪ টিতে দপ্তরী কাম প্রহরী নিয়োগ দেওয়া হয়।
এছাড়া একটি বিদ্যালয়ে এসএমসি (বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি) না থাকা ও অন্যটিতে প্রার্থীদের একাধিক অভিযোগ থাকায় নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত রয়েছে।
২০১৭ সালে ৯ জুলাই এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরে অবশেষ এক বছর পর এ নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় পিডিবি-৩ প্রকল্পের আওতায় এ নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে।
জানা যায়, গত এক বছর যাবৎ ঝুলে থাকা এ নিয়োগকে কেন্দ্র করে ঘুষ বাণিজ্যসহ বিভিন্ন অনিয়মের গুরুতর অভিযোগ উঠে। সরকার দলীয় নেতারা এ নিয়োগ বাণিজ্যের সাথে জড়িত থাকার গুঞ্জন রয়েছে।
নিয়োগের নামে চাকরি প্রার্থীদের কাছ থেকে গোপনে দুই থেকে তিন লাখ টাকা ঘুষ আদায় করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠে।
এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যানের প্রতিনিধি ও নিয়োগ কমিটির সদস্য দেলোয়ার হোসেন চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, ‘নিয়োগ বোর্ড যাচাই-বাছাই করেই যোগ্যদের নিয়োগ দিয়েছে। আর ঘুষ বাণিজ্য বা অনৈতিক কাজের সাথে নিয়োগ কমিটির কেউ জড়িত নয়।’
এ বিষয়ে মুক্তিযোদ্ধা সফর আলী এ প্রতিনিধিকে বলেন, ‘ক্যাচমেন্ট (স্কুলের স্থানীয় এলাকা) এর বাহিরের প্রার্থীকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এজন্যে আমি জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।’
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান এ চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, ‘যথাযথভাবে এ নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে বলে আমি মনে করি।’
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নিয়োগ কমিটির সভাপতি এএইচএম মাহফুজুর রহমান বুধবার (২ আগস্ট) চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, ‘নিয়োগ কমিটি যাচাই-বাছাই করে আবেদনকারীদের মধ্যে যোগ্যদের নিয়োগ দিয়েছে। তারপরেও কেউ যদি তথ্য গোপন কিংবা মিথ্যা তথ্য দিয়ে থাকে তা প্রমাণিত হলে নিয়োগ কমিটি তাদের নিয়োগ বাতিল করবে।
এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কমিটির সদস্য ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সাহেদ সরকার এ প্রতিনিধিকে বলেন, ‘নিয়োগ নিয়ে আমি ক্ষুব্ধ। এ বিষয়ে এমপি মহোদয় ভালো বলতে পারবেন।’
প্রতিবেদক- আতাউর রহমান সোহাগ