চাঁদপুর ফরিদগঞ্জে সরকারি ত্রান বিতরনে পৌর কাউন্সিলরদের সংযুক্ত না রাখায় পৌর মেয়র মাহফুজুল হক এর বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে সংশ্লিষ্ট পৌরসভার ৯ কাউন্সিলর। যাহার অনুলিপি স্থানীয় সাংসদ, জেলা প্রশাসক, জেলা ত্রান ও পূর্নবাসন কর্মকর্তা,উপজেলা চেয়ারম্যান,উপজেলা ত্রান ও পূর্নবাসন কর্মকর্তা ও অফিসার ইনচার্জ ফরিদগঞ্জকে প্রদান করা হয়েছে।
অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, করোনা ভাইরাসের প্রভাবে কর্মহীন হয়ে পড়া নিন্মআয়ের মানুষের জন্য দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রান মন্ত্রনালয় থেকে বরাদ্দকৃত ত্রানের চাল বিতরণে কাউন্সিলরদের অবগত না করেই মেয়রের ইচ্ছানুযায়ী ও স্বেচ্ছাছারিতা দেখিয়ে তার নিজস্ব লোক দিয়ে বন্টন করছেন। এতে এলাকার নিন্ম আয়ের মানুষ সরকারের ত্রান থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলে অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে।
অভিযোগকারী প্যানেল মেয়র খলিলুর রহমান, (কাউন্সিলর) মজিবুর রহমান, ইসমাইল হোসেন, হারুনুর রশিদ, জামাল উদ্দিন, ফাতেমা বেগম বলেন, একটি পরিষদ ১২ জন কাউন্সিলর দ্বারা গঠিত হয়, কিন্তু জনগনের জন্য সরকারের উপহার স্বরুপ ত্রান মেয়রের পছন্দের ব্যক্তিদের দিয়ে থাকেন, যা সম্পূর্ন নিয়ম বর্হিরভূত। আমাদের সাথে কোন ধরনের আলোচনা ছাড়াই খামখেয়ালি ভাবে চাল বিতরন করছে। আমাদের এলাকার সামান্য সংখ্যক লোককে চাল দিয়েছে, যাহা আমাদের র্নিবাচনী এলাকায় ১০ ভাগের এক ভাগ। মেয়রের এ প্রশ্নবিদ্ধ চাল বিতরনে আমরা বিভিন্ন মহলে প্রশ্নের সম্মুখিন হচ্ছি। উনার এহেন স্বেচ্ছাছারিতা সরকারের অগ্রযাত্রাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। আমরা মাননীয় এমপি মহোদয়সহ সংশ্লিষ্টদের কাছে বিচার দাবী করছি।
এসময় তারা আরো বলেন, গত তিন বছর যাবত আমাদের সম্মানী ভাতাটা পর্যন্ত দেয়নি মেয়র। এই দূর্যোগ পূর্ন মূহুর্তে আমাদের ভাতার টাকা গুলো দিলে গরিব অসহায়দের পাশে গিয়ে দাঁড়াতে পারতাম।
এ বিষয়ে মেয়র মাহফুজুল হক বলেন, আমি শতভাগ নিয়ম নীতি মেনে প্রতিটি ঘরে ঘরে গিয়ে চাল বিতরণ করায় উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনেছে। তারা (কাউন্সিলররা) আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এনেছে তা সম্পূর্ন ভিত্তিহীন, আমি এ পর্যন্ত সরকারের ত্রান তহবিল থেকে ১৬ টন চাল উত্তোলন করেছি, এমপি মহোদয়ের ১ টন ও আমার ব্যক্তিগত অর্থায়নে ৩ টনসহ মোট ২০ টন চাল প্রতিটি ওয়ার্ডে গিয়ে অসহায়দের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছি। ধাপে ধাপে সরকারের তহবিল থেকে যে অর্থ এসেছে তার মধ্যে পৌরসভার নাগরিকদের জন্য মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, সাবান, পৌর এলাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে হাত ধোঁয়ার ব্যবস্থা, কীটনাশক ও নগদ অর্থ সহায়তা দিয়েছি। সম্মানি ভাতা সম্পর্কে তিনি বলেন, কাউন্সিলররা অনাস্থা দেওয়ায় নিয়মানুযায়ী তাদের ভাতা বন্ধ রয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিউলী হরি বলেন, অভিযোগটি আমি পেয়েছি এবং তা (ডি ডি এল জি) উপ-পরিচালক স্থানীয় সরকার বিভাগ স্যারের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছি। সেখান থেকে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
প্রতিবেদক:শিমুল হাসান.১৮ এপ্রিল ২০২০