ফরিদগঞ্জ ৫নং গুপ্টি ইউনিয়নের দারপাড়া গ্রামে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হামলায় আনোয়ার হোসেন (৪৯) ও তার ভাতিজী মুক্তা আক্তার (১৯) । পরে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় আহত দুইজন কে পাশোবর্তি উপজেলার হাজীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়।
এ বিষযে ফরিদগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলা সূ্ত্রে জানাযায়, উপজেলার দারপাড়া গ্রামের পালের বাড়ির আনোয়ার হোসেন ও তার বড় ভাই বাচ্চু মিয়াসহ যৌথ ভাবে বিল্ডিং এর কাজ করতে মালামাল নিয়ে প্রতিবেশি হারুন মিয়ার ঘরের পাশদিয়ে আসতে গেলে হারুন বাধা দেয়। এই নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। বড় ধরনের সংঘর্ষ হওয়ার আগে স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে তাৎক্ষণিক সমাধান হয়।
এ ঘটনার ১৩ এপ্রিল সোমবার আনোয়ার হোসেন ইটের টাকা দেওয়ার জন্য গল্লাক বাজারের উদ্দেশ্যে মোটরসাইকেল যোগে রওনা দেয়। পথিমধ্যে হারুন ও তার দলবল আনোয়ার হোসেনের ওপরে অতর্কিত হামলা চালায়। চাচাকে বাঁচাতে তার ভাতিজি মুক্তা আক্তার গেলে তার উপর ও হামলা করা হয়। এসময়ে আনোয়ারের কাছে থাকা ইটের ১ লাখ ১৪ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় এবং মোটর সাইকেল ভাংচুর করে। তাদের ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে আহতদেরকে উদ্ধার করে হাজীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়।
প্রত্যক্ষদর্শী সিরাজুল ইসলাম জানন, এই রাস্তা সরকারের একওয়ারের রাস্তা। এই রাস্তা ব্যবহার নিয়া হারুন ও তার পরিবার কোন প্রকার গাড়ি যেতে পারবেনা বলে বার বার বাড়ির সবাইকে নিষেধ করে। এগুলো তাদের বাড়াবাড়ি বাড়ির রাস্তা সকলে ব্যবহার করবে। কিন্তু তারা সব সময়ই এগুলো নিয়া ঝামেলা করে।
মামলা হওয়ার পর থেকে হারুন রশিদের সাথে যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
ওয়ার্ড় মেম্বার শিপন বলেন, এটা সরকারি রাস্তা এই রাস্তা দিয়ে সকলে চলাফেরা করবে। হারুন একজন দুষ্টু প্রকৃতির লোক। সে কেন বাধা দিয়েছে আমরা বিষয়টি নিয়ে চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলবো।
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, ১৯ এপ্রিল ২০২০