Home / উপজেলা সংবাদ / ফরিদগঞ্জ / ফরিদগঞ্জে টয়লেটের ময়লা হাসপাতালের ভিতরে!
টয়লেটের

ফরিদগঞ্জে টয়লেটের ময়লা হাসপাতালের ভিতরে!

স্বাস্থ্য বিভাগে অস্বাস্থ্যকর কর্মকান্ড। উদ্বেগ সচেতন মহল ও সাধারণ জনগণ। যেখানে স্বাস্থ্য বিভাগের স্বাস্থ্য সচেতন থাকার কথা থাকলেও রয়েছে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে। যে কেউ ইচ্ছে মতো ফেলছে টয়লেটের ময়লা ও বাজারের ময়লা আবর্জনা।
দীর্ঘদিন ধরে ময়লা আবর্জনা ফেলছে বাজার ব্যবসায়ীরা।

এদিকে কোনো প্রকার অনুমতি ছাড়াই চেয়ারম্যানের একক সিদ্ধান্তে বাজারের পাবলিক টয়লেটের ময়লা ফেলছে হাসাপাতালের ভিতরে। এতে পুরো এলা জুড়ে হই চই বিরাজ করছে। স্বাস্থ্য বিভাগের এহেতুক কর্মকান্ড নিয়ে প্রশ্ন তুলছে সাধারণ জনগণ। এতো কিছুর পরও ব্যবস্থা নিচ্ছে না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি যেমন দুঃখজন, একই সাথে রহস্যজনক বটে। ঘটনাটি ঘটেছে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার রূপসা (উত্তর) ইউনিয়ন উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, উপজেলার রূপসা উত্তর ইউনিয়নের রূপসা বাজার সংলগ্ন উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্রের বাউন্ডারি ওয়ালের ভিতরে বাজারের পাবলিক টয়লেটের ময়লা এবং বাজারের আবর্জনা ফেলে নোংরা করছে হাসাপাতালের পরিবেশ। তারই ধারবাহিকতায় গত ৩০ সেপ্টেম্বর রোজ শুক্রবার বাজারের পাবলিক টয়লেটের ময়লা হাসাপাতালের বাউন্ডারির ভিতর গর্ত করে ময়লা ফেলে রেখেছে ইউপি চেয়ারম্যান মো.কামরুল হাসান ও বাজার ব্যবসায়ী কমিটির সভাপতি মো. আজিম। এতে ময়লার গন্ধে ভরে গেছে হাসপাতালের আঙ্গিনা। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখে সংশ্লিস্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেন। এগিকে হাসপাতালে গিয়ে কোনো রূপ ছুটি ছাড়া হাসপাতালে অনউপস্থি ছিলেন ডা.লুৎফুর রহমান।

বিষয়টি মুঠোফোনে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানালে তিনি তাৎক্ষনিক সেখানে প্রতিনিধি দল পাঠান।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর আর.এম.ও ডা.কামরুল হাসান এবং এম.ও.ডি.সি ডা.মামুনুর রশিদ সেখানে গিয়ে বাজার ব্যবসায়ী কমিটির সভাপতি ও চেয়ারম্যানকে তলব করেন। উক্ত ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাউছার উল আলম কামরুল আসলেও রহস্যজনক কারনে বাজার ব্যবসায়ী কমিটির সভাপতি আজিম আসছি বললেও ঘন্টা পার করেও তিনি আর আসেননি। পরে তার ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়।

স্থানীয়দের কয়েকজন সাংবাদিকদের অভিযোগ করে বলেন, এখানে তেমন একটা সেবা পাওয়া যায় না। প্রায় সময়ই বন্ধ থাকে। গতকাল একটি শিশু পানি পড়ে যায়। প্রথমে এখানে আনা হয়। কিন্তু হাসাপাতাল বন্ধ পেয়ে চতুরা নেওয়ার পথে মারা যায়।
এ বিষয়ে রূপসা বাজার ব্যবসায়ী কমিটির গত দুই বারের সাধারণ সম্পাদক ও সদস্য সদস্যের প্রতিনিধি মো.নজরুল ইসলাম সুমন বলেন, বিষয়টি দুঃখজনক। যেখানে সবাই মিলে হাসপাতালের পরিবেশকে সুন্দর করবে। যাতে একটি স্বাস্থ্যকর পরিবেশ বিরাজ করে। আমরা সেটা না করে উল্টো আরো সেখানে ময়লা ফেলে পরিবেশ দূষণ করছি।

রূপসা আহমদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন, ঐদিন ছিলো শুক্রবার। আমি স্কুলে ছিলাম না। সংবাদ পেয়েছি ওরা স্কুলের জায়গায় বাজারের গণশৌচাগারের ময়লা ফেলছে। আমি তাৎক্ষনিক ম্যানেজিং কমিটিকে বিষয়টি জানিয়েছি। তারা এসে বাধা দিলে আর সেখানে না ফেলে হাসপাতালের ভিতরে ফেলেছে।

এ বিষয়ে ১৫নং রূপসা উত্তর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. কাউছার উল আলম কামরুল সাংবাদিকদের বলেন, বাজারে আর কোনো জায়গা ছিলো না বিধায় এখানে ফেলেছি। তবে আমরা সতর্ক থেকেছি যাতে পরিবেশ দূষণ না করে। সাথে সাথে বিলিসিং পাউডার, কেরোসিন তেল দিয়ে মাটি চাপা দেওয়া হয়েছে।’

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আশরাফ চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, আমি সেখানে আমার লোক পাঠাচ্ছি। তারা এসে আমাকে রিপোর্ট দেওয়ার পর ঘটনার সত্যতা বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থ্যা নিবো।’

প্রতিবেদক: শিমুল হাছান, ১ অক্টোবর ২০২২