চাঁদপুর ফরিদগঞ্জে ট্রাক্টরচালিত ট্রলি আটক অভিযান শুরু হয়েছে। গত কয়েক দিনে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ ট্রাক্টরচালিত ৮টি ট্রলি আটক করেছে। সড়ক পথে নিষিদ্ধ এ ট্রাক্টরগুলো গত কয়েক যুগে প্রাণ কেড়ে নিয়েছে বহু মানুষের। ভেঙ্গে ফেলছে যান চলাচলের কাঁচা ও পাকা সড়ক।
ফসলের জমিতে হাল চাষের ট্রাক্টরের সঙ্গে যুক্ত করা হচ্ছে ট্রলি। গত কয়েক যুগে বহু নারী-পুরুষ, শিশু ও শিক্ষার্থীর প্রাণ কেড়ে নিয়েছে এ ট্রলি। বহু পরিবার হয়েছে স্বজনহারা। ট্রাক্টরের চাপায় নিহত মানুষের জীবনের মূল্য নির্ধারণ হয় ২০-৩০ হাজার টাকা।
স্বজন হারানো মানুষ একান্ত বিপদে পড়ে অধিকাংশ সময় সমঝোতা করতে বাধ্য হয়। এছাড়াও, এ ট্রলিযুক্ত ট্রাক্টার ভেঙ্গে ফেলছে যান চলাচলের কাঁচা ও পাকা সড়ক। একদিকে কোটি টাকায় নির্মিত হচ্ছে সড়ক। অন্যদিকে বছর না ঘুরতেই সে সড়ক ভেঙ্গে যাচ্ছে। এ জন্য ঠিকাদারের নিম্নমানের কাজ দায়ী হলেও ট্রাক্টরেরও বড় ভূমিকা রয়েছে বলে দায়িত্বশীলগণ মত প্রকাশ করেছেন।
এদিকে সড়কে এ যানগুলো চলাচল নিষিদ্ধ থাকলে ও, এগুলো চালাচ্ছে এক শ্রেণির চালক তাদের কোনো প্রশিক্ষণ ও নেই। কখনো অপ্রাপ্ত বয়স্করাও এ ট্রাক্টর চালাচ্ছে।
ট্রলিযুক্ত এ ট্রাক্টরের বিরূপ প্রভাবের কারণে চাঁদপুরের পুলিশ সুপার জিহাদুল করিম (বিপিএম, পিপিএম) জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করেছেন। এগুলো যাতে সড়কে চলাচল করতে না পারে তার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিতে নির্দেশ দিয়েছেন থানা পুলিশকে। ফলে, প্রায় প্রতিদিনই চলছে পুলিশের অভিযান।
এতে গত কয়েক দিনে ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ হারুনুর রশিদের নেতৃত্বে ৮টি ট্রলিযুক্ত ট্রাক্টর আটক করা হয়েছে। এছাড়াও চাঁদপুরের ডিবি পুলিশ ৫টি ট্রলিযুক্ত ট্রাক্টর আটক করে চাঁদপুর নিয়ে গেছে।
এ ব্যপারে ট্রলিযুক্ত ট্রাক্টরের মালিক ও শ্রমিকগণ বলেছেন, এ পরিবহন গুলোর কারণে ডোবানালা থেকে সহজে মাটি তোলা ও বিভিন্ন মালামাল পরিবহন করা যায়। যা অন্য কোনো উপায়ে সম্ভব না। এছাড়া এর সাথে বর্তমানে বহু পরিবারের ভরণ পোষণ জড়িত।
ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশের অফিসার ইন-চার্জ হারুনুর রশিদ বলেছেন,‘ট্রলিযুক্ত ট্রাক্টর সড়কে চলাচল আইনত নিষিদ্ধ। আমরা আইনানুগ দায়িত্ব পালন করবোই। ট্রলিযুক্ত ট্রাক্টর আটক অভিযান অব্যাহতভাবে চলতে থাকবে।’
করেসপন্ডেট
১৪ ফেব্রুয়ারি,২০১৯