চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে অবৈধভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহারের সময় হাতেনাতে ধরা পড়লো ঝিল মালিক। তাৎক্ষণিক বিদ্যুতের অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করণসহ মালামাল আটক করা হয়েছে। একটি মিটারের সংযোগও বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ। উপজেলার হাঁসা গ্রামে রোববার রাত আনুমানিক ১২ টায় অভিযান চালানোর পর এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলা হয়নি।
বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ ও এলাকাবাসী জানিয়েছে, হাঁসা মাদরাসার নিকট হিয়াইল্লা খাল সংলগ্ন ঝিলে গত প্রায় তিন বছর যাবত মাছ চাষ করছে নূর মোহাম্মদ খান (৫৮)। মাছ চাষের জন্য ঝিলের ভেতরে ও বাইরে সারা বছর পানি সেচ করতে হয়। এ কাজে সেখানে ব্যবহার হয় ৪টি সেচ পাম্প। রাতে জ্বালানো হয় বিশটি বৈদ্যুতিক বাতি।
এদিকে, এ ঝিলের ওপর দিয়ে প্রবাহমান রয়েছে এল টি বিদ্যুৎ লাইন। এ লাইন থেকে একটি মিটার সংযোগ নেয়া হয়। তবে ঐ মিটার ব্যবহার করা হয় সীমিতভাবে। ঝিল মালিক বিদ্যুতের এল টি লাইন থেকে হুকিং করে অবৈধভাবে দিবারাত্রি ঐ সেচ পাম্প চালায় ও বৈদ্যুতিক বাতি ব্যবহার করে। অভিযোগ এলাকাবসীর। তারা আরও জানিয়েছেন, নূর মোহাম্মদ অবৈধভাবে এ বিদ্যুৎ ব্যবহার করছে গত প্রায় তিন বছর যাবত।
সংবাদকর্মীর মাধ্যমে খবর পায় কর্তৃপক্ষ। এতে ফরিদগঞ্জ জোনাল অফিসের এজিএম এমএম রায়হানুল ইসলাম, জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার সহিদুল ইসলামসহ প্রায় ৮জন বিদ্যুৎ কর্মী সেখানে উপস্থিত হয়। তারা অভিযোগের সত্যতা খুঁজে পেয়ে ৪টি সেচ পাম্প, সংযোগকৃত মিটার ও বিপুল সংখ্যক বৈদ্যুতিক তার উদ্ধার করে অফিসে নিয়ে যায়।
এদিকে, ঘটনার সময় ঝিলে উপস্থিত নূর মোহাম্মদের পুত্র নবীর হোসেন (২৪) অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগের ঘটনা অকপটে স্বীকার করে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো মামলা দায়ের করেনি পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ। সূত্র জানিয়েছে, এমনিভাবে অবৈধভাবে বহু বিদ্যুৎ ব্যবহার কারী রয়েছে। এর সঙ্গে একটি সিন্ডিকেট জড়িত বলে সূত্রে প্রকাশ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ডিজিএম মোখলেছুর রহমান জানান, অবৈধ এ ঘটনায় যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া চলছে। তিনি তথ্য দিয়ে বলেন, একইভাবে গত প্রায় এক বছর পূর্বে খবর পেয়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। কিন্তু, নূর মোহাম্মদ দমে যায়নি।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, দৈনিক প্রায় ৫ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ ব্যবহার করেছেন তিনি।
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট