ফরিদগঞ্জে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলায় বিভিন্ন বাজার কোরবানির পশুর হাট জমে উঠেছে। গেল কয়েকদিন ধরেই ফরিদগঞ্জ উপজেলার বৃহত্তম ফরিদগঞ্জ বাজারের কুরবানির পশুর হাটে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গরু,মহিষ,ছাগল আসতে শুরু করে। একই চিত্র উপজেলার রুপসা গরুর বাজারে মাঠের। প্রতিদিনই কুরবানি পশুর কেনাবেচায় ব্যস্ত ক্রেতা ও বিক্রেতারা

রুপসা বাজারে বৃহত্তম কুরবানির পশুর হাট বসে রুপসা আহম্মদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে।

৬ জুলাই বুধবার দুপুরের পরই কোরবানির পশু দিয়ে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় হাট। হাটে বড়, মাঝারি ও ছোট সাইজের প্রচুর গরু উঠলেও দাম চড়া থাকায় অনেক ক্রেতা ফিরে এসেছেন।

জানা যায়, ফরিদগঞ্জ পৌর এলাকায় অবস্থিত ফরিদগঞ্জ পৌরসভা ও ওয়াবদা মাঠে বসে কোরবানির পশুর হাট টি উপজেলার বৃহত্তম হাট হিসেবে পরিচিত। ঈদ উপলক্ষে সপ্তাহে রবিবার ও বৃহস্পতিবার হাটবারে গবাদিপশু কেনাবেচা হয়ে থাকে। তবে কুরবানির ঈদকে সামনে রেখে প্রায় প্রতিদিনই হাটে গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া কেনাবেচা চলছে।

অপরদিকে উপজেলার নারকেলতলা বাজার বাজার সংলগ্ন মাঠে বুধবার বিকালে হাটে গিয়ে দেখা গেছে, প্রচুর কুরবানির পশুর আমদানি হয়েছে। মোটামুটি কেনাবেচা হয়েছে বলে, ক্রেতা-বিক্রেতারা জানিয়েছেন। তবে হাটে দেশীয় মাঝারি সাইজের গরুর চাহিদা বেশি ছিল। তাই এ জাতের গরুর দাম তুলনামূলক বেশি ছিল। হাটে সবচেয়ে বড় গরুর দাম হাঁকা হয়েছিল ৪ লক্ষ টাকা। এছাড়াও হাটে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে দেশি- বিদেশি বিভিন্ন প্রজাতির উন্নতমানের ছাগল।

রুপসা বাজারে কথা হয় গরুর পাইকার টিটু পাটওয়ারীর সাথে। তিনি অস্ট্রেলিয়ান জাতের একটি বড় ষাড়ের দাম হেঁকেছেন, সাড়ে সাড়ে ৪ লাখ টাকা। ক্রেতারা দাম করেছেন, ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা।

অন্যদিকে উপজেলার গৃদকালিন্দিয়া বাজার,কালিবাজার বাজর ও নয়ারহাট, বাজারসহ ফরিদগঞ্জ, সর্বত্র জমে উঠেছে কুরবানির পশুর হাটগুলো।দাম চড়া হওয়ায় কেনাবেচা কিছুটা কম বলে জানান ইজারাদাররা।

উপজেলার ভাটিরগাঁও গ্রামের মাসুদ চাঁদপুর টাইমসকে জানান, তারা কুরবানির জন্য দেশি জাতের মাঝারি গরু কিনতে এসেছেন। কিন্তু বড় গরুর তুলনায় এ ধরনের গরুর দাম বেশি। তাই তার মতো অনেক ক্রেতাই ফিরে যাচ্ছেন। আগামী দিন উপজেলার অন্য কোনো হাটে যাবেন।

এদিকে হাটের ইজারাদার জানিয়েছেন, হাটের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ক্রেতা ও বিক্রেতারা যাতে প্রতারিত না হন সে জন্য মাইকে প্রচারণা চালানো হয়।

অপরদিকে হাটগুলোতে দেখা মিলছে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্হা।পাশাপাশি উপজেলা প্রাণীসম্পদ অফিসের কর্মকর্তারা ও সেবাদানে ছুটে চলছেন এক বাজার থেকে আরেক বাজারে।এছাড়া ও বিভিন্ন হাটগুলোতে বসানো হয়েছে জাল টাকা সনাক্তকারী মেশিন।অনেকটা উৎসবের আনন্দে ক্রেতা- বিক্রেতারা দরকষাকষি করছেন।

প্রতিবেদক: শিমুল হাছান, ৬ জুলাই ২০২২

Share