চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলায় মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলের আঘাতে সালেহা বেগম (৮০) নামে এক মায়ের করুণ মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (২৪ জুলাই) উপজেলার পূর্ব ধানুয়া গ্রামের মিজি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সালেহা বেগম ওই বাড়ির মৃত আব্দুল খালেক মিজির স্ত্রী।
নিহতের স্বজন রাবেয়া বেগম জানায়, তার ছেলে বাহার মিজি একজন মানসিক রোগী। গত দু’তিন মাস আগেও সে ঢাকা দিশা মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলো। মাথায় সমস্যা থাকার কারনে সে প্রায়ই তার মাকে গালমন্দ ও অনেক মারধর করতো। ঘটনার দিন রাতে সালেহা বেগম তার কাতার প্রবাসী ছেলের ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। রাত আড়াইটার দিকে বাহার মিজি বাড়িতে গিয়ে তার মাকে ডেকে তুলে অনেক গালমন্দ করে বলেন, তার শিশু ছেলে মেহেদী কোথায়।
মানসিক ছেলের এমন প্রশ্নের জবাবে তার মা বলেন, মেহেদীকে তার মাদ্রাসায় দিয়ে আসা হয়েছে। এ কথা বলতেই বাহার সালেহা বেগমকে এলোপাতাড়িভাবে মারধর শুরু করেন। একপর্যায় সে সালেহা বেগমের মাথা পাকা মেঝেতে আছড়াতে থাকেন এবং তার বাম চোখে আঙ্গুল ঢুকিয়ে দেন।
ছেলের এমন নির্মম আঘাতে সালেহা বেগম রক্তাক্ত জখম হয়ে গুরুতর আহত হয়ে পড়লে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে এনে ভর্তি করান। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোর ৫ টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
এদিকে ঘটনার পর পরই স্থানীয়রা হত্যাকারী বাহার মিজিকে আটক করে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশের হাতে সোর্পদ করেন।
এ ব্যাপারে ফরিদগঞ্জ থানার এস আই কাজী মোঃ জাকারিয়া বলেন, আমি শুনেছি মানসিক ছেলের আঘাতে তার মায়ের মৃত্যু হয়েছে। খবর পেয়ে হাসপাতালে এসে লাশের সুরুতহাল রির্পোট তৈরি করেছি। এখন ময়না তদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হবে। তিনি আরো জানান, ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন তাকে আটক করে থানায় সোর্পদ করেছে। এখন যদি কেউ মামলা করে তাহলে মামলা দায়ের করা হবে।
এ ব্যাপারে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের আরএমও ডাঃ আসিবুল আহসান চৌধুরী বলেন, নিহতের একটি চোখ উপড়ে ফেলা হয়েছে এবং মাথায় প্রচন্ড আঘাত প্রাপ্ত হওয়াতে তার মৃত্যু হয়েছে। তার ময়না তদন্ত করা হয়েছে বাকিটা পরে বলা যাবে।
প্রতিবেদক : কবির হোসেন মিজি