ফরিদগঞ্জে চেয়ারম্যানের নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি!

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে সরকারি সড়কের ক্ষতি করে স্থাপনা নির্মাণ করছেন এক প্রবাসী। চেয়ারম্যানের নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন প্রাবসী সুমনের ভাই ও স্ত্রী। রাষ্ট্রের সম্পদ নষ্ট করার অভিযোগ উঠেছে উপজেলার ১৬নং রূপসা দক্ষিণ ইউনিয়নের চরমুঘুয়া গ্রামের চৌকিদার বাড়ীর আব্দুল কাদের (৬৫) এর ছেলে সৌদি প্রবাসী মো. সুমন হোসেন (৩৫) এর বিরুদ্ধে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. শরিফ হোসেন খান কাজটি পর্যবেক্ষণ করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার থেকে স্থাপনা নির্মাণের অনুমোদন আনার কথা বলে আপাতত নির্মাণ কাজ স্থগিত করার নির্দেশ দিলেও কাজ চালিয়ে যাচ্ছে প্রবাসী মো. সুমন হোসেনের ছোট ভাই সবুজ হোসেন নবী (৩০)।

সরেজমিন দেখা যায়, গৃদকালিন্দিয়া থেকে কালিবাজারগামী ইসিজি সড়কের দক্ষিণ পাশে মো. সুমন হোসেন এর পাকা দালান। এর সম্মুখভাগে দশ ফিট দূরত্বেই সড়কের পাশে নির্মাণ করা হচ্ছে ভবনের সেইফটি টাংকি। মাটির স্থলভাগ সড়কের নিচে দিয়ে মাটি খুঁড়ে টাংকির বেইজ বের করায় ইতিমধ্যে সড়কের একাংশ ধসে পড়ার অবস্থায় রয়েছে। ইতোমধ্যে ফাটল ধরেছে সড়কে। ওই সড়কে মালবাহী ভারী ট্রাক বা যে কোন বড় বাহন প্রবেশ করলেই সড়কটি ধসে পড়ার সম্ভাবনা প্রবল হয়ে আছে স্থানটিতে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও এলাকাবাসীর কাছ থেকে জানা যায়, সেইফটি টাংকিটি একাংশে সরকারি জমি রয়েছে। কর্তৃপক্ষ দ্রুত ব্যাবস্থা গ্রহণ না করলে সরকারি জমি বেদখলের পাশাপাশি রাস্তায় যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। সরকারি জমি থেকে এ অবৈধ স্থাপনা অপসারণের দাবি জানিয়েছেন তারা।

সুমনের স্ত্রী স্বপ্না বলেন, আমরা আমাদের জায়গায় ট্যাংকি করছি। চেয়ারম্যানকে বলেছি প্রয়োজনে রাস্তার যে অংশ ভাংছে সেখানে বালু ফেলে ভরাট করে দিবো।

১৬নং রূপসা দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. শরিফ হোসেন খান জানান, চরমুঘুয়া চৌকিদার বাড়ীর প্রবাসী সুমন তার ভাইয়ের নেতৃত্বে তার বসত ঘরের সেইফটি টাংকি নির্মাণের সংবাদ পেয়ে সেখানে তিনি উপস্থিত হয়েছেন। এবং নির্মাণ কাজ বন্ধ রেখে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ভূমি অফিস থেকে অনুমোদন চাওয়ার নির্দেশ জারী করেন তিনি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌলী মণ্ডল জানান, বিষয়টি আমি মাত্র জানলাম। আগামীকাল আমি সেখানে লোক পাঠিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো।

প্রতিবেদক: শিমুল হাছান, ১৪ জানুয়ারি ২০২৪

Share