ফরিদগঞ্জে চাচা-চাচীকে মারধরের ঘটনায় ভাতিজা শ্রীঘরে

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে সম্পত্তিগত বিরোধের জেরে ভাতিজার হাতে চাচা-চাচী মারধরের ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল পর অভিযুক্ত ভাতিজা রাসেল আহাম্মেদ মিঠুকে আটক করেছে পুলিশ।

২১ সেপ্টেম্বর বুধবার রাতে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ অভিযুক্ত ভাতিজা রাসেল আহাম্মেদ মিঠুকে আটক করে এবং নিয়মিত মামলায় জেল হাজতে প্রেরণ করেন।

জানাযায়, ১৯ সেপ্টেম্বর সোমবার সম্পত্তিগত বিরোধের জেরে চাচা- ভাতিজার মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ভাই আব্দুল কাদের মাস্টারের ছেলে রাসেল আহাম্মেদ মিঠু (৩৮), কাদের মাস্টারের স্ত্রী রৌশন আরা বেগম(৬০), পুত্রবধূ রাশিদা আক্তার সুমি (২৮) ও ফরিদা আক্তার লাইজু (২৫)সহ চাচা হাফেজ গিয়াস উদ্দিন (৬৮) ও চাচি শাহিনুর বেগম (৫০) ব্যাপক মারধর করে। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে এবং চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য চাঁদপুর সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে।

এ সময় স্থানীয়রা ওই ভিডিও মোবাইল ফোনে ধারন করে এবং তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে প্রশাসনের দৃষ্টি গোচর হয়।

এ বিষয়ে এলাকাবাসী কয়েকজন জানায়, আব্দুল কাদেরের ছেলে রাসেল আহাম্মেদ মিঠুসহ পরিবারের লোকজন ইতিপূর্বে কয়েকবার গিয়াস উদ্দিনসহ পরিবারের লোকজনকে মারধর করেছে। শুধু গিয়াস উদ্দিনের পরিবার নয় এলাকার একাধিক মানুষকে তারা মারধর করেছে।

এ বিষয়ে রাসেল আহাম্মেদ মিঠুর স্ত্রী সুমি মারধরের অভিযোগ স্বীকার করে বলেন তারাও আমাদেরকে মারধর করেছে।
এ বিষয়ে গিয়াস উদ্দিনের মেয়ে শান্তা জানান, পিতা- মাতা ছাড়া আমাদের কেহই না থাকায় জোরপূর্বক আমাদের জায়গা-জমিন আত্মসাত করতে প্রায়শই আমার বাবা-মাকে মারধর করে এবং ঘটনার দিন আমার বাবাকে হত্যার উদ্দেশ্য ব্যাপক মারধর করা অবস্থায় আমার মা বাঁচাতে গেলে তাকেও রক্তাক্ত জখম করে। গুরুতর আহত অবস্থায় তারা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। আমরা প্রতিনিয়ত নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।

এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শহীদ হোসেন জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরালের পর থানায় এজহার মূলে নিয়মিত মামলা দায়ে করে রাসেল আহাম্মেদ মিঠুকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে এবং বাকী আসামীদের আটকের চেষ্টা চলছে।

প্রতিবেদক: শিমুল হাছান,২১ সেপ্টেম্বর ২০২২

Share