চাঁদপুর ফরিদগঞ্জ উপজেলার পাইকপাড়া (দঃ) ইউনিয়নের পাঁচ গ্রামের মানুষ চলাচলের রাস্তাটি দিন দিন নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে দেখার যেন কেউই নেই। এলাকাবাসীরা চরম দুর্ভোগের শিকার।
দেখা যায়, রাস্তাটিতে একেবারেই চলাচলের অযোগ্য অবস্থায় পড়ে রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে এরই প্রতিবাদ জানাতেই রাস্তায় জমা কাদা পানির মধ্যে ধান গাছ লাগিয়ে এই অভিনব পদ্ধতিতে পথ অবরোধ করে ক্ষোভ প্রকাশ করে স্থানীয় এলাকাবাসীরা।
দেশ যখন উন্নয়নের মহাসড়কে চলছে, তখন উপজেলার পাইকপাড়া দক্ষিন ইউনিয়নের দায়চারা, ইছাপুরা, রামদাশেরবাগ, চৌমুখা ও সাহাপুর এই ৫ গ্রামের মানুষের জেন ভোগান্তির শেষ নেই। যেন মনে হচ্ছে এই এলাকার গ্রামবাসীরা অন্য দেশে বসবাস করে। উন্নয়নের মহাসড়ক থেকে যেন এলাকাবাসী ছিটকে পড়ছে নাম না জানা অন্য আরেক দেশে। ইছাপুরা পাটওয়ারী (চন্দের) বাড়ি থেকে সাহাপুর চৌরাস্তা পর্যন্ত ১ কি.মি. কাচা রাস্তার সংস্কার নেই দীর্ঘদিন ধরে।
ফলে রাস্তার বড় বড় গর্তগুলো এখন এক একটি বিষপোঁড়া। একটু বৃষ্টি হলেই জমে যায় পানি, হয়ে যায় কর্দমাক্ত ফসলের মাঠের মত। এলাকাবাসীর এই রাস্তা ধরেই যাতায়াত করতে হয় উপজেলা সদরে ।
উপজেলার পাইকপাড়া দক্ষিন ইউনিয়ন পরিষদের কবি রূপসা, জামালপুর, বালিছাটিয়া, নদৌনা, দায়চারা, চৌঁমুখা, ইছাপুরা’র নাগরিক গনের ইউনিয়ন পরিষদে যাওয়ার প্রধান রাস্তিই এইটি। কিন্তু বর্তমানে এই রাস্তাটি গাড়ি (রিক্সা, সিএনজি, ইজিবাইক) চলাচলের জন্য সম্পুর্ণভাবে অনুপযোগী। বৃষ্টি হলে কাঁদায় সাধারণ মানুষ পায়ে হেঁটেও এই রাস্তা ব্যবহার করতে পারছেনা।
১৬ জুন মঙ্গলবার বিকেলে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের আয়োজনে ইছাপুরা থেকে পাইকপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের রাস্তার বিভিন্ন স্থানে ধানের চারা রোপন করা হয়।
ফরিদগঞ্জ উপজেলার মধ্যে পাইকপাড়া (দঃ) ইউনিয়নটি অবহেলিত। ভোটের সময় ভোট আর পরে তেমন খবর নেওয়ার সময় পায়না জনপ্রতিনিধিরা অভিযোগ এলাকাবাসির।
চাঁদপুর সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী নূরুল ইসলাম তারেক বলেন,র্দীঘদিন থেকে দেখে আসছি রাস্তাটি শুধু মাপযোগ হচ্ছে কিন্তু রাস্তা করার কোন খবর নাই। রাস্তাটি পাঁকা হওয়া খুব জরুরি। ধানের চারা লাগিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছি। কারণ জনপ্রতিনিধিদের বলে বলে হয়রান হয়েগেছি আর বলতে পারছি না।
পাইকপাড়া ইউজি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জীবন, শাম্মি, খেলাফত, রহমান জানায় বৃষ্টি হলে ওই রাস্তা দিয়ে ৩-৪ হাতও যাওয়া যায় না। তার পরেও রাস্তা বাদ দিয়ে অন্যের বাড়ি দিয়ে বিদ্যালয়ে যেতে হয়। অনেক সময় অন্যের গালাগালিও খেতে হয়।
রিক্সাচালক বাচ্ছু শেখ বলেন এখনও বর্ষা শুরু হয়নি তাতেই এই অবস্থা। দেশে অনেক উন্নয়ন হয়েছে হচ্ছে আশা করি এই রাস্তাটি পাঁকা করার বিষয়ে সংশ্লিষ্টরা দ্রুতসীদ্ধান্ত নিবেন।
ইছাপুরা গ্রামের ব্যবসায়ী সাদ্দাম হোসেন মিঠুন বলেন, দেশে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। ফরিদগঞ্জেও অনেক এলাকার রাস্তা পাকা হয়েছে যে গুলো রাস্তায় মানুষ চলাচল করে না। অথচ পাইকপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের রাস্তা জনবহুল হওয়া সত্তেও পাঁকা হচ্ছে না। আমরা চাই রাস্তাটি দ্রুত পাকা হোক সাধারন মানুষের দূভোগ কমুক।
সুমন খান বলেন, আমাদের এলাকায় ডজনে ডজনে নেতা থাকার পরও কোন নেতা রাস্তাটির সমস্যা সঠিক জায়গাতে না যাওয়ায় পাঁকা হচ্ছে না। ফলে এলাবাসির দূর্ভোগের যেন শেষ নেই। সামান্য বৃষ্টিতে রাস্তাটি চলাচলে অনুপযোগি হওয়ায় বিশেষ করে মাদ্রাসা, বিদ্যালয়, কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা পড়েন বিপাকে।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, উপজেলা চেয়ারম্যান এবং এমপি মহোদয়ের নিকট ভুক্তভোগী এলাকাবাসীর আকুল আবেদন অতি শীঘ্রই এই রাস্তাটির বাজেট প্রনয়ণ করে রাস্তাপাকা করনের জোর দাবি জানাচ্ছি।
প্রতিবেদক:শিমুল হাছান,১৭ জুন ২০২০