চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলায় সম্পত্তিগত বিরোধে একাধিক গাছ কর্তন ও হামলায় ৩ জন আহত হয়েছে। গত ২৭ সেপ্টেম্বর বুধবার সকালে ওই উপজেলার ১২ নং চরদুখিয়া পশ্চিম ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের পুঠিয়া গ্রামের জমাদার বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন,অলি মিয়া জমাদারের পুত্র খোরশেদ জমাদার (৫৫),খোরশেদ জমাদারের পুত্র আনোয়ার (২২), রাশেদ (২৫),আলী আরশাদের পুত্র ওয়াসিম (৩২)। ঘটনার পর থেকে প্রতিপক্ষের হুমকি, ধমকি এবং হামলার ভয়ে নিজ গৃহে যেতে পারছেন না ভুক্তভোগী অসহায় পরিবারটি।
আহত ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজন জানান, একই বাড়ির বাদশা মিয়া জমাদার ও তাদের ছেলেদের সাথে খোরশেদ জমাদার এবং আলী আরশাদ জমাদারদের সাথে বাড়ির কয়েক শতাংশ সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিলো। এ নিয়ে স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার ও গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ কয়েকটি সালিশ বৈঠকও হয়েছে। ঘটনার কয়েকদিন পূর্বে বাদশা মিয়া গংরা আহতদের সম্পত্তিতে জোর পূর্বক বিল্ডিং নির্মান করতে গেলে তারা তাতে বাঁধা প্রদান করেন। পরে তা মিমাংসার লক্ষ্যে ঘটনার দিন সকালে একই ভাবে স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বারসহ একটি সালিশ বৈঠক করেন। আর ওই সালিশ বৈঠকেই দু,পক্ষের বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে অলিমিয়ার পুত্র বাদশা মিয়া, তার পুত্র সুজন, রাজন শিশু মিয়ার পুত্র মিস্টার, অলি মিয়ার পুত্র আলী আরশাদ,তাদের পরিবারের শিল্পি,সুমিসহ অজ্ঞাত আরো ৭/৮জন মিলে তাদের সম্পত্তিতে থাকা বিভিন্ন প্রজাতির একাধিক গাছ কেটে ফেলেন। এসময় অভিযুক্তরা দলবদ্ধ হয়ে তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় বলেও তাদের অভিযোগ। আহতদের শরীরের বিভিন্নস্থানে রক্তাক্ত জখম হয়ে খোরশেদ জমাদার, আনোয়ার ও ওয়াসিম জমাদার গুরতর ভাবে আহত হন।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ হামলার পরে তাদেরকে নীরহ পেয়ে বাদশা মিয়ার পরিবারের সকলে তাদেরকে বাড়ি থেকে তারিয়ে দেন। একই সাথে বার বার বাড়িতে পুলিশ পাঠিয়ে ভয়ভীতি দেখান। অন্যদিকে তারাও বিভিন্ন হুমকি ধমকি প্রদান করেন। তাদের হামলার ভয়ে ভুক্তভোগী অসহায় পরিবারটি তাদের বাড়ি ঘরে যেতে ভয় পাচ্ছেন। তাই তাদের জীবনের নিরাপত্তার জন্য চাঁদপুরের পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
এ বিষয়ে স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার ইমাম হোসেন বাবুল বলেন, মূলত বাদশা মিয়া জমাদাররা যে জায়গা ক্রয় করেছেন। তারা তা বিভিন্ন দাগে ক্রয় করেছেন কিন্তু তারা এক দাগেই তাদের বসত ঘর উঠানোর জন্য চেষ্টার কারেন যার কারনেই দুই পক্ষের মধ্যে এই দন্ধ সৃষ্টি হয়। তাদের বিরোধ মিমাংসার জন্য ঘটনার দিন আমরা সালিশী বৈঠকে বসেছিলাম। কিন্তু সালিশ বৈঠকেই তারা আমাদের সামনেই বিবাদে লিপ্ত হয়।
বাদশা মিয়া জমাদারের ছেলে সুজন ও রাজনসহ তাদের পরিবারের লোকজন বলেন, আমরা আমাদের বাবার এক ফুফুর কাছ থেকে ক্রয়কৃত সম্পত্তিতে বিল্ডিং করি। এতে তারা বাঁধা প্রদান করছে। গাছ কর্তন ও হামলার বিষয়টি তারা অস্বীকার করে । তবে তারা যে আমাদের সাথে ঝগড়া করেছে, সেজন্য তদন্ত করতে বাড়িতে কয়েকবার ফরিদগঞ্জ থানার এস আই আবিদ এসেছিলো।
এলাকাবাসীদের সাথে আলাপ কালে জানাযায়,বাদশা মিয়ার পরিবার ঢাকায় থাকে তারা অর্থ বিত্তে প্রভাবশালী হওয়ায় প্রতিপক্ষের উপর প্রভাব বিস্তার করছে এবং তাদেরকে হয়রানি করছে যার জন্য তারা তাদের ভয়ে নিজ গৃহে প্রবেশ করতে পারছে না।
ভোক্তভুগী পরিবারটি বাদশা মিয়া পরিবারের হাত থেকে রেহাই পেতে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছেন।
প্রতিবেদক: কবির হোসেন মিজি,৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩