ফরিদগঞ্জ

ফরিদগঞ্জে দিনব্যাপি গ্রাম আদালত বিষয়ক কর্মশালা

তৃণমূলের দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠী, বিশেষ করে নারীদের সক্ষমতা বাড়ানো এবং বিচারিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচিত নারীদের অংশগ্রহণ কিভাবে বাড়ানো যায় তা নিয়ে ফরিদগঞ্জ উপজেলা কনফারেন্স কক্ষে সোমবার (২৩ এপ্রিল) দিনব্যাপি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

চাঁদপুর স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে পাঠানো এক প্রেস বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।

স্থানীয়ভাবে অতি সহজে, স্বল্প খরচে এবং স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় বিরোধ নিষ্পত্তি করা এবং অন্যায়ের প্রতিকার লাভে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত নারী সদস্য এবং সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তাসহ ৩৭ জন অংশগ্রহণ করেন।

সরকারের স্থানীয় সরকার বিভাগ, জাতিসংঘের উন্নয়ন সংস্থা (ইউএনডিপি) ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত ‘বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (২য় পর্যায়) প্রকল্প’ -এর আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় সহযোগী সংস্থা বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড সার্ভিসেস ষ্ট্রাষ্ট (বøাষ্ট) এ কর্মশালা আয়োজনে বিশেষ সহযোগিতা প্রদান করে।

এই প্রকল্পের সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্য হলো স্থানীয়ভাবে সহজে, স্বল্প সময়ে, স্বল্প ব্যায়ে এবং স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় বিরোধ নিষ্পত্তিতে গ্রাম আদালতের মূখ্য-অংশীজনদের (যারা বিচারিক কাজে যুক্ত থাকবেন বিশেষভাবে ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যবৃন্দ) সক্ষম করে তোলা এবং অন্যায়ের প্রতিকার লাভের জন্য তৃণমূলের দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠী, বিশেষত নারীদের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা।

ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস-চেয়ারপারসন মোসাম্মদ রিনা নাসরিনের সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফরিদগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা এ.এইচ.এম মাহফুজুর রহমান।

কর্মশালায় মূল আলোচক ছিলেন চাঁদপুর জেলা স্থানীয় সরকারের গ্রাম আদালত বিষয়ক ডিস্ট্রিক্ট ফ্যাসিলিটেটর (ডিএফ) নিকোলাস বিশ্বাস।

কর্মশালায় আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড সার্ভিসেস ষ্ট্রাষ্টের জেলা সমন্বয়কারী মোঃ আলী আজম।

উপস্থাপনা করেন ফরিদগঞ্জ উপজেলায় কর্মরত বøাষ্টের উপজেলা সমন্বয়কারী মো. দেলোয়ার হোসেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বøাষ্টের সুভাস চাকমা এবং গ্রাম আদালত সহকারী যথাক্রমে মোঃ রাসেল হোসেন ও উম্মে তামিমা।

কর্মশালার প্রধান অতিথি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ.এইচ.এম মাহফুজুর রহমান বলেন, গ্রাম আদালতের মাধ্যমে নারী বা পুরুষ প্রত্যেকেরই বিচার প্রাপ্তির অধিকার রয়েছে। বাড়ির কাছেই গ্রাম আদালত; গ্রাম আদালতে কম সময়ে কম খরচে বিচার পাওয়া সম্ভব; নিজের পরিচিত পরিবেশে বিচার হয় বলে নারীর জন্য নিজের সব কথা সহজে বলা যায়; নিজের পছন্দমত প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়া যায় বলে নারী বিচার প্রার্থীগণ সহজেই গ্রাম আদালতের মাধ্যমে বিরোধ মীমাংসার সুযোগ পান।

কর্মশালার মূল আলোচক নিকোলাস বিশ্বাস বলেন, গ্রাম আদালতের বিচার প্রক্রিয়ায় নারী ও পুরুষ প্রতিনিধির অধিকার ও গুরুত্ব সমান। প্রত্যেকে প্যানেল সদস্যের ভোটের গুরুত্ব সমান। তাছাড়া নারীর স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে একজন নারী প্রতিনিধি নারীর সমস্যাটি ভালোভাবে অনুধাবন করতে পারেন এবং তার পক্ষে অধিকতর জোড়ালোভাবে সমস্যা বিশ্লেষণ ও যুক্তি তুলে ধরতে পারেন। নারী প্রতিনিধির উপস্থিত থাকলে নারী বিচার প্রার্থীর জন্য তার সমস্যা নিঃসংকোচে বলা সহজ হয়। গ্রাম আদালতের প্যানেল সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করার মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধি পায়।

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

Share