চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৩নং সুবিদপুর (পূর্ব) ইউনিয়নস্থ বাসারা উচ্চ বিদ্যালয়ের গত শনিবার হতে গণআতংক রোগে আক্রান্ত ছেলে মেয়েরা ধীরে ধীরে সুস্থ্য হয়ে উঠছে। তাদের চিকিৎসায় ঢাকা থেকে আগত একটি চিকিৎসকদল কাজ করছেন।
বুধবার (৫ অক্টোবর) সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় স্কুল বন্ধ অবস্থায়ও কয়েকটি মেয়েকে স্কুলে ডেকে আনা হয় তাদেরকে পর্যবেক্ষণের জন্য।
এদিকে অজ্ঞাত এ রোগ সম্পর্কে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মহাখালীস্থ রোগতত্ত্ব রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনিস্টিটিউট হতে ডা. সাদিয়ার নেতৃত্বে ৩ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল গত ২ দিন ধরে বিদ্যালয়ে অবস্থান করে অক্রান্ত শিক্ষার্থীদের পর্যবেক্ষণ ও অজ্ঞাত এ রোগ নির্ণয়ে কাজ করে যাচ্ছেন।
অজ্ঞাত এ রোগে আক্রান্ত ১০ম শ্রেণির ছাত্রী সেলিনা আক্তার, আখি আক্তার, ৯ম শ্রেণির ছাত্রী তানিয়া আক্তারের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রথমে তাদের হঠাৎ মাথা ব্যথা করে এবং মাথা ঘুরে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে অজ্ঞান হয়ে যায়।
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক যাদব কৃষ্ণ শাহা চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ‘অজ্ঞাত এ রোগে আক্রান্ত সকল ছাত্র/ছাত্রীকে আমরা সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রেখেছি।’
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির এ কে এম মহিউদ্দিন মজুমদার খোকা চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ‘ছাত্র/ছাত্রীদের আক্রান্তের খবর পেয়ে সাথে সাথেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতি সাভাবিক রয়েছে।’
তিনি আরো জানান, ‘ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের ধারণা ছেলে/মেয়েরা অনেকেই সকালে তেমন কোন খাবার না খেয়ে স্কুলে আসে এতে তারা শারীরিক ভাবে দূর্ভল হয়ে পড়ে এবং অত্যাধিক গরমের কারনে এমনটি হতে পারে, যা একজনের হলে অন্যরাও ভয়ে আক্রান্ত হয়ে পড়ে এতে ভয়ের কোন কারণ নেই।’
এদিকে আক্রান্ত রোগীদের পরিচর্যার জন্য সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করেন ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য পরিদর্শক নারগিস আলম চৌধুরী, গীতা রাণী পোদ্দার, ৩নং সুবিদপুর (পূর্ব) ইউনিয়ন স্বাস্থ্য সহকারী মো. নজরুল ইসলাম।
এ সংক্রান্ত আগের প্রতিবেদনটি পড়ুন….ফরিদগঞ্জে দু’দিনে ‘গণআতংকে’ শতাধিক শিক্ষার্থী অচেতন