“আমরা সবাই কিশোর ভাই সুস্থ্য বিনোদনের জায়গা চাই” এই স্লোগানকে সামনে রেখে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার ১১ নং চরদুঃখিয়া পূর্ব ইউনিয়নের সন্তোষপুর দারুচ্ছুন্নাত ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার নতুন ভবন অন্যত্রে নির্মানের দাবীতে মানববন্ধন করেছে এলাকার যুব সমাজ, কিশোর-কিশোরী ও বিভিন্ন শ্রেনী- পেশার মানুষ।
১৫ জুন বুধবার সকালে সন্তোষপুর দারুচ্ছুন্নাত ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসা মাঠে উক্ত মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
জানাযায়, বঙ্গবন্ধুর শতবার্ষিকী উপলক্ষে ২০২১-২০২২ অর্থবছরের সারাদেশে ১০০ টি মুজিব কিল্লা ভবন নির্মাণ প্রকল্প (সাইক্লোন সেন্টার) স্হাপনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। তারই ধারাবাহিকতায় ফরিদগঞ্জ উপজেলার সন্তোষপুর গ্রামে একটি সাইক্লোন সেন্টার স্থাপনের অনুমোদন হয়।
সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, ১১ নং চরদুঃখীয়া পূর্ব ইউনিয়নের মধ্য সন্তোষপুর গ্রামে যুব সমাজ, কিশোর-কিশোরীর খেলার জন্য বড় একটি মাঠ রয়েছে। প্রতিদিন যুবকরা ও কোমলমতি শিক্ষার্থীরা এখানে খেলাধুলা করে আসছে। তাদের খেলাধুলার বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে নতুন অনুমোদন হওয়া সাইক্লোন সেন্টার। এদিকে মাদ্রাসার সাইক্লোন সেন্টার নির্মানে অতিরিক্ত জায়গা থাকলেও একটি মহলের প্ররোচনায় মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ এবং সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্ম ব্যক্তিরা ও সংশ্লিষ্ট কাজের ঠিকাদার মাঠের মধ্যেই ভবনটি নির্মানের পায়তারা করছে।
যুব সমাজের পক্ষে মানিক হাসান বলেন, যুব সমাজকে মাদকসহ সকল অপরাধ মূলক কাজ থেকে দূরে রাখতে লেখা- পড়ার পাশাপাশি তাদের খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক চর্চার সাথে যুক্ত রাখতে হবে। সে জন্যই এ খেলার মাঠটিকে টিকিয়ে রাখতে হবে। যেহেতু এ ইউনিয়নের কোথাও বড় ধরনের খেলার মাঠ নেই। সেক্ষেত্রে খেলার মাঠ টিকিয়ে রেখে ভবনটি নির্মানের জোর দবী জানাচ্ছি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন আফজাল হোসেন, ফয়সাল হোসেন, সাদ্দাম হোসেন, রাব্বি হাসান, সাহাদাত হোসেন, গাজী আল আমিন, সাহাদাত সাকিব, জাহিদ, আবদুল আহাদ, কাজী জাহিদ, তানবির মিজি, রায়হান কবিরাজ, সজিব, সোহাগ, হোসেন, শাওন, তুহিন, তানবির হোসেন, মানিক কবিরাজসহ কোমলমতি শিক্ষার্থীবৃন্দ।
উল্লেখ্যঃ মানববন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ প্রদান করে স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে চরদুঃখিয়া পূর্ব ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান মিরাজ বলেন, অত্র ইউনিয়নে এই খেলার মাঠ ছাড়া আর কোন বড় খেলার মাঠ নেই। মাদ্রাসার প্রায় ১ একর জায়গা রয়েছে। কর্তৃপক্ষ খেলার মাঠ বাদ দিয়ে তারা ভবনটি নির্মাণ করতে পারে। এ ব্যাপারে আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত ভাবে অবগত করেছি। যেহেতু মজিব শতবর্ষ উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে সারা দেশের ন্যায় আমার ইউনিয়নেও মুজিব কিল্লা নির্মাণ (সাইক্লোন সেন্টার) স্থাপনের জন্য প্রকল্পের অনুমোদন দেন।আমি চাই খেলার মাঠ দখল না করে মাঠের যে কোন এক প্রান্তে সাইক্লোন সেন্টার স্থাপন করা হোক ।
এ বিষয়ে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আবুল হাসান সাইফুল্লাহ জানান, ভবনের দৈর্ঘ্য ১৫০ ফুট প্রস্হ ৫৫ ফুট। মাঠের বাহিরে কোন দিক দিয়ে দৈর্ঘ্য ১৫০ ফুট নেই, মাত্র ১১০ ফুট জায়গা রয়েছে। তাই সাইক্লোন সেন্টারটি মাঠেই করা হচ্ছে, এখানে আমাদের কিছু করার নেই।
এ বিষয়ে নির্মাণ কাজের ঠিকাদার জাকির হোসেন জানান, মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ আমাকে যেখানে বলবে আমি ঐ স্থানে কাজ করব। আমি ব্যক্তিগতভাবেও চাই খেলার মাঠ থাকুক।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাসলিমুন নেছা জানান, আমি এ সম্পর্কে অবগত নই। এখন যেহেতু জানতে পেরেছি। যদি মাদ্রাসার জায়গা থাকে তাহলে খেলার মাঠ রেখে প্রকল্প টি যেনো হয় সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
প্রতিবেদক: শিমুল হাছান, ১৫ জুন ২০২২