Tuesday, 28 July, 2015 03:36:52 AM
স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট:
টানা বৃষ্টি ও বর্ষার কারণে দেশের অন্যতম ‘চাঁদপুর সেচ প্রকল্প’ (সিআইপি) বাঁধের অর্ন্তভূক্ত ফরিদগঞ্জের অধিকাংশ এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে।
২৭ জুলাই সোমবার দুপুর পর্যন্ত সেচ প্রকল্পে রোপণ করা আমন ক্ষেত ৩ থেকে ৫ ফুট পর্যন্ত পানির নিচে ডুবে ছিল।
ফরিদগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, প্রকল্পের বাইরে মেঘনা নদীতে জোয়ারের পানি বেড়ে যাওয়ায় প্রকল্পের পানি নিষ্কাশন ব্যাহত হচ্ছে। ফলে প্রকল্প এলাকার ফরিদগঞ্জ ও রায়পুর উপজেলায় মারাত্মক জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে।
এদিকে, চলতি মৌসুমে আমনের চাষ নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন হাজারো কৃষক। পানি কমে গেলেও পুনরায় আমন চাষ করতে চারার সঙ্কটে পড়ার আশঙ্কা করছেন তারা। এছাড়া সেচ প্রকল্পের অভ্যন্তরে আবাদকৃত শত শত মাছের ঘের পানির চাপে ভেসে যাওয়ারও আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
অন্যদিকে, নিম্নাঞ্চলের কৃত্রিম জলাবদ্ধতা বন্যায় রূপ নিয়েছে। অনেক এলাকার রাস্তাঘাট ও ঘরবাড়িতে পানি উঠে গেছে। ফলে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন এসব এলাকার বাসিন্দারা।
ফরিদগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু তাহের চাঁদপুর টাইমসকে জানান, কৃষকরা নষ্ট হয়ে যাওয়া বীজতলার ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে সড়কের পাশসহ বিভিন্ন স্থানে নতুনভাবে বীজতলা তৈরি করেছে।
সিআইপি কৃষি সম্প্রসারণ সুপারভাইজার জহিরুল ইসলাম জানান, জলাবদ্ধতা স্থায়ী রূপ নেওয়ায় বহু কৃষকের আমনের বীজতলা ও ক্ষেত বিনষ্ট হয়ে গেছে। পানি কমে গেলে পুনরায় আমন চাষ করতে গিয়ে চারার সঙ্কটে পড়তে পারেন কৃষকরা।
সিআইপির উপসহকারী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) বদর উদ্দিন মোল্লা চাঁদপুর টাইমসকে জানান, মেঘনায় পানি বেড়ে যাওয়ায় প্রকল্পের ভিতর হতে হাজিমারা ও নানুপুর চরবাগাদী স্লুইচ গেইট দিয়ে পানি নিষ্কাশনের কাজ ব্যাহত হচ্ছে। চরবাগাদী পাম্প হাউজের মোট ১২শ’ কিউসেকের ৬টি পাম্প মেশিন দিয়ে বিরতিহীনভাবে পানি নিষ্কাশন করা হচ্ছে। তবে বৃষ্টি বেশি হওয়ায় প্রকল্প এলাকায় বর্তমানে জলাবদ্ধতার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) শাখা কর্মকর্তা (এসও) মো. আলাউদ্দিন জানান, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
চাঁদপুর টাইমস : এমএ/ডিএইচ/২০১৫।
চাঁদপুর টাইমস ডট কম–এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, আলোকচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা বেআইনি