ফরিদগঞ্জ

ফরিদগঞ্জে কালের বিবর্তনে বিলুপ্তির পথে ‘আটিয়া কলা’

এক সময় গ্রামের মানুষ আটিয়া কলা, দুধ, দই, চিড়া ও মুড়ি দিয়ে সকালের নাস্তা করতো। কালের বিবর্তনে এসব দেশীয় খাবারের সঙ্গে সঙ্গে হারিয়ে যেতে বসেছে ‘আটিয়া কলা’।

দেশি আটিয়া কলা মোটা ও লম্বা হয়। এ কলায় অনেক ভিটামিন ও প্রোটিন রয়েছে। গ্রামে এখনো প্রচলিত আছে, আটিয়া কলা ও চিড়া খেলে পাতলা পায়খানা কমে যায়।

উপজেলার ৩ নং সুবিদপুর ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামের ৬০ বছর বয়সের বৃদ্ধ মো. হোসেন মিয়া বলেন, দেশি আটিয়া কলা এক সময়ের জনপ্রিয় খাবার ছিল। আমি ছোট থেকে দেখে এসেছি আমার বাবা প্রতিদিন সকালে দেশি আটিয়া কলা, দুধ, চিড়া দিয়ে নাস্তা করতেন। আমার বাবা আমাকে বলেছিলেন, যদি কারো পাতলা পায়খানা হয় তাহলে দেশি আটিয়া কলা আর দুধ, চিড়া খেলে ভাল হয়ে যায়।

কলা ব্যবসায়ী আব্দুর রাজ্জাক চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, দেশি আটিয়া কলা এখন খুবই কম পাওয়া যায়। কিছু কিছু গ্রামে আটিয়া কলা পাওয়া যায়। তবে আগে অনেক পাওয়া যেত এখন তা কমে এসেছে। তবে এখনো কিছু কিছু গ্রামের মানুষ এই কলা খোঁজ করে।

ফরিদগঞ্জ কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, একটি বড় মাপের কলা খেলে ১০০ ক্যালরির বেশি শক্তি পাওয়া যায়। কলাতে রয়েছে সহজে হজমযোগ্য শর্করা। শর্করা পরিপাকতন্ত্রকে সহজে হজম করতে সাহায্য করে।

গবেষকেরা জানান, আটিয়া কলা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ এবং স্বাভাবিক রক্তপ্রবাহ নিশ্চিত করে। এ কলায় প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম রয়েছে।

ফরিদগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আশিক জামিল মাহমুদ চাঁদপুর টাইমসকে জানান, এ কলার বিচি বেশি হওয়ার কারণে কেউ বাণিজ্যিকভাবে চাষ করে না। তবে গ্রামের বাড়ির আশপাশে এ কলার গাছ দেখা যায়। বাণিজ্যিকভাবে চাষ করলে আটিয়া কলা টিকিয়ে রাখা সম্ভব।

প্রতিবেদক:শিমুল হাছান,২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১

Share