ফরিদগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে আ.লীগ-বিএনপির মেয়র পদে একক প্রার্থী থাকলেও প্রত্যেক ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে একাধিক প্রার্থী থাকায় শংকায় বড় দুই দলের মেয়র প্রার্থীরা এবং আতংকে রয়েছে সাধারণ ভোটাররা।
আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি ফরিদগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশন প্রায় সকল আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেছে। প্রার্থীরা নির্ভিগ্নে তাদের প্রচার- প্রচারণা ও ভোটারদের দ্বারে দ্বারে বিভিন্ন উন্নয়ন এবং আশার বানী শুনিয়ে ভোট প্রার্থনা করলেও উৎফুল্লতা নেই সাধারণ ভোটারদের মাঝে।
এদিকে উভয় দলের কাউন্সিলর প্রার্থীদের নিয়ে দলের নীতিনির্ধারকেরা একাধিকবার বৈঠক করেও একক প্রার্থী নির্ধারণে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারেনি।
অন্যদিকে ভোটাররা বলছে ভিন্ন কথা, পাঁচ বছর পর কাংখিত নির্বাচনে উৎসব মুখর পরিবেশ থাকলেও পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবে কিনা, এমন প্রশ্ন পৌরবাসীর মুখে মুখে।
কাউন্সিলর পদে আ’লীগের একাধিক প্রার্থী নিয়ে পৌর আ’লীগের সাধারন সম্পাদক মেয়র মাহফুজুল হক বলেন, দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী একজনের বেশি নির্বাচন করতে পারবে না। এ বিষয়ে তাদের জানানো হয়েছে। কিন্তু তারা না মানায় সতর্ক করা হয়েছে। তারপর তারা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াননি।
কাউন্সিলর পদে একাধিক প্রার্থী নিয়ে উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, জেলা ও উপজেলা বিএনপি নেতৃবৃন্দ কাউন্সিলর পদে একক প্রার্থীর বিষয়ে একাধিকবার বৈঠক করে সকলকে বললেও তা মানছেন না কেউই।
উল্লেখ্য, ২০০৫ সালে গঠিত হয়েছে ফরিদগঞ্জ পৌরসভা, দ্বিতীয় শ্রেণীর পৌরসভায় ভোটার সংখ্যা ৩১ হাজার। আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। মেয়র পদে ৩ জন এবং কাউন্সিলর প্রার্থী ৬৪ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ১১ জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবেন।
প্রতিবেদক:শিমুল হাছান,৮ ফেব্রিুযারি ২০২১