ফরিদগঞ্জ

ফরিদগঞ্জে কাঁচা বাজারে স্বস্তি, তেলে আগুন

বাঙালি মানেই খাদ্যরসিক। আর খাবারের প্রতি ভালোবাসা যেখানে, সেখানে বাজারে যাওয়ার প্রতি টান থাকবে না সেটা হতে পারে না। তাই ব্যাগ হাতে বাজার সব বাঙালিরই গন্তব্য।

কিছুদিন আগে সবজির দাম নিয়ে হা হুতাশ করছিলেন ক্রেতারা। তবে এখন দাম কমে আসায় কিছুটা স্বস্তি এসেছে। কারণ বেশিরভাগ সবজি এখন ৩০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। এর সঙ্গে পেঁয়াজের দামও ক্রেতাদের স্বস্তি দিচ্ছে। বাজারে ভালো মানের নতুন আলু ও পাকা টমেটোর সরবরাহ বাড়ায় এ দুটি পণ্যের দাম কমেছে। ২০ টাকা কেজি দরেই পাওয়া যাচ্ছে নতুন আলু ও দেশি পাকা টমেটো। ফলে ক্রেতাদের মধ্যে স্বস্তি দেখা দিয়েছে।

সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে ভোজ্যতেলের দাম। বাজারে খুচরা প্রতি লিটার তেলের দাম ২০ থেকে ২৫ টাকা বেড়েছে। এছাড়া দাম বেড়েছে চিনির। অপরিবর্তিত রয়েছে চাল, মুরগি, গরু ও খাসির মাংসসহ অন্যান্য পণ্যের দাম।

১৬ জানুয়ারি শনিবার উপজেলার ফরিদগঞ্জ বাজার, চান্দ্রা বাজার, রুপসা বাজান, মুন্সীরহাট, গল্লাক বাজার, কামতা বাজার, খাজুরিয়া বাজার, বালিথুবা বাজার ও গৃদকালিন্দিয়া বাজার ঘুরে এ চিত্রই দেখা গেছে।

বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে এখন সব ধরনের শীতের সবজি ভরপুর। ফুলকপি, বঁাধাকপি, শালগম, মুলা, বেগুন, পাকা টমেটো কোনো কিছুর কমতি নেই। দিন দিন এসব সবজির সরবরাহ বাড়ছে। ফলে দামও কমছে। সামনে দাম আরও কমবে।

উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে ভালো মানের দেশি পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ – ৪৫ টাকা। দুই কেজি নিলে কোনো কোনো বিক্রেতা ৮০ টাকা রাখছেন। অথচ কিছুদিন আগেই দেশি পেঁয়াজের কেজি ছিল ৫৫ থেকে ৬০ টাকা। কিছুদিন আগে ৪০-৫০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া নতুন আলু এখন মানভেদে ২০-২৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। সবচেয়ে ভালো মানের নতুন আলু কোনো কোনো বিক্রেতা দুই কেজি ৪৫ টাকায় বিক্রি করছেন।

কিছুদিন আগে পাকা টমেটোর কেজি ছিল ১০০ টাকার ওপরে। এখন তার থেকে ভালো মানের পাকা টমেটো ৩০-৩৫ টাকা কেজিতে পাওয়া যাচ্ছে। শিমের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৪০ টাকা। ফুলকপি ও বঁাধাকপির পিস বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১৫ টাকা। এছাড়া মুলা ৭ থেকে ১০ টাকা, গাজর ৩০ থেকে ৫০ টাকা, বেগুন ২০ থেকে ৩০ টাকা, উস্তা ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। ৪০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে বড় লাউ।

ফরিদগঞ্জ বাজারের ক্রেতা মহিউদ্দিন চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, বাজারে মাছের দাম একটু বেশি মনে হচ্ছে। বাজার ঘুরে দেখলাম সবজির দাম অনেক কমেছে। কিন্তু বেড়েছে ভোজ্যতেল আর চিনির দাম। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম আমাদের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকলে ভালো হতো।

প্রতিবেদকঃশিমুল হাছান,১৭ জানুয়ারি ২০২১

Share