ফরিদগঞ্জ

ফরিদগঞ্জে করোনা পজেটিভ রোগী অবাধে চলাফেরা : আতংকে এলাকাবাসী

চাঁদপুর ফরিদগঞ্জে গত ১০ দিন পূর্বে পাশের জেলা লক্ষ্মীপুর থেকে পালিয়ে আসা একজন করোনা পজেটিভ রোগী ফরিদগঞ্জের ১১নং চরদুঃখিয়া ইউনিয়নের পূর্ব আলোনিয়া গ্রামের দীঘির পাড়ের দাস বাড়ির সমীর চন্দ্র দাসের ছেলে শিমুল চন্দ্র দাস (৩১) নিজ বাড়িতে রোগের তথ্য গোপন করে অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছে। করোনা পজেটিভ এই রোগী স্থানীয়।

জানা যায়, করোনা আক্রান্ত শিমুল চন্দ্র লক্ষ্মীপুরে একটি ফার্মেসিতে কাজ করতো। ১১দিন পূর্বে তার করোনা বিষয়ক উপস্বর্গ দেখা দিলে লক্ষ্মীপুর জেলা সদর হাসপাতালে করোনা টেস্টের জন্য স্যাম্পল জমা দেয়। সেখানকার রিপোর্টে তার তার করোনা পজেটিভ আসলে সে পালিয়ে ফরিদগঞ্জ বাড়িতে চলে আসে। আসার পর নিজে কিছুটা সুস্থ অনুভব করায় এলাকার কিশোর যুবকদের সাথে প্রতিদিন বিকালে ক্রিকেট খেলেছে,চায়ের দোকানে আড্ডা এবং এলাকার বিভিন্ন কৃষকদের সাথে অন্যের জমিতে ধানও কেটেছে। বন্ধুদের সাথে কাঁচা আমের ভর্তা খাওয়া, পুকুরে গোসল করা সহ এমন কোন কাজ বাকি নেই তিনি করেননি।

৯ মে শনিবার বিকেলে লক্ষ্মীপুর থেকে পূর্ব আলোনিয়া বাজারের ঔষধ ব্যবসায়ী পায়েল সরকার নামক এক ব্যক্তির কাছে কল আসে। তাকে বিস্তারিত জানানো হলে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ ফরিদগঞ্জ থানায় জানালে থানা কর্তৃপক্ষ ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে গ্রাম্য চকিদার দিয়ে শিমুল চন্দ্র দাসের বাড়ি লক ডাউন করে। তার বাড়ির চারদিকে লাল পতাকা টানিয়ে দেওয়া হয়। যদিও এ ঘটনা গ্রামের সবাইকে জানানোর কারনে পায়েল সরকারকে রোগী শিমুল চন্দ্র দাসের পরিবার অকথ্য ভাষায় গালাগাল ও হুমকি ধমকি দেয়।

এ ঘটনায় শিমুলের সময় কাটানো খেলার মাঠ, চায়ের দোকান, কোনটাই বন্ধ করা হয়নি। সব কিছুই সচল আছে পূর্বের নিয়মে।

স্থানীয়রা জানায় শিমুল চন্দ্র দাস চলাচলের সময় মুখে কোন মাস্ক ব্যবহার করতেন না। স্বাভাবিক ভাবেই তিনি সকলের সাথে চলাফেরা করতেন।

এ বিষয়ে শিমুল চন্দ্র দাসের পাশের বাড়ির আলোনিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক খগেশ চন্দ্র দেওয়ান বলেন, গতকাল বিকালে খবরটি আসলে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। শিমুলকে এখনও কেন বাড়িতে রাখা হয়েছে তা আমাদের বুঝে আসছে না। তার বাড়িকে নামে মাত্র লক ডাউন ঘোষনা করলেও পাশের চায়ের দোকান, খেলার মাঠ সবকিছুই সচল রয়েছে। আমরা সকলেই এখন অজানা একটি আতঙ্কে রয়েছি।

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য ইউপি চেয়ারম্যান বাছির আহমেদকে বহুবার মুঠোফোনে কল করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিউলী হরি বলেন, আমি ঘটনা সম্পর্কে জানতে পেরেছি এবং স্থানিয় চেয়ারম্যান ও মেম্বারকে বলেছি বাড়িটি সম্পূর্ন লকডাউন করে দিতে।

প্রতিবেদক:শিমুল হাছান,১১ মে ২০২০

Share