ককটেল বিস্ফোরণ, মারধর ও বহিরাগত দুর্বৃত্তের দিয়ে হামলা এবং নির্মাণাধীন বসতঘরের দেয়াল ভাঙচুর করায় নাজমা বেগম নামে এক বিধবা থানায় লিখিত অভিযোগ করছেন।
২৩ মার্চ বুধবার সকালে উপজেলার গোবিন্দপুর উত্তর ইউনিয়নের চরমথুরা এলাকার খান বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
থানায় অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, বিধবা নাজমা বেগমের প্রায়ত স্বামীর জায়গায় একই এলাকার মৃত মতিন গাজীর ছেলে মোঃ আঃ গনী গান্ধী (৬০), মৃত ছোবহান পাটওয়ারীর ছেলে মোঃ জাহাঙ্গীর পাটওয়ারী (৪০), মৃত- হামিদ খানের ছেলে মোঃ সাইফুল ইসলাম খান (৫০), সাইফুল ইসলাম খানের স্ত্রী মোসাঃ ফাতেমা বেগম (৩৫), মৃত হামিদ খানের ছেলে মোঃ মফিজ উদ্দিন (৪৫), মো. বাসু মিজির স্ত্রী ফাতেমা বেগম (৬০) তাদের সম্পত্তি দাবি করে বহিরাগত সন্ত্রাসী দিয়ে নাজমা বেগমের বসত ঘরের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ করে আতংক সৃষ্টির পর নির্মাণাধীন বসত ঘরের দেওয়াল ভাঙচুর, নাজমা বেগম ও মেয়েদের মারধর করে এবং বসতভিটা থেকে উচ্ছেদ করতে প্রভাব বিস্তার করে।
বিধবা নাজমা বেগম জানান, দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে তার প্রতিবেশী অভিযুক্তরা আমার স্বামীর সম্পত্তি তাদের দাবী করে আমাদেরকে প্রতিনিয়ত মারধর, গালমন্দ বসত ঘর ভাংচুর করে আসছে। সর্বশেষ তারা বহিরাগত দুর্বৃত্তদের দিয়ে আমার বসত ঘরের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ করে আতংক সৃষ্টির পর, আমি এবং আমার মেয়েদের মারধর করে। পরে তারা আমার নির্মানাধীন বিল্ডিং এর দেওয়াল ভাংচুর করে। আমি থানায় অভিযোগ করেছি এবং এ ঘটনার বিচার দাবি করছি।
এলাকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জানান, অভিযুক্তরা প্রতিনিয়ত এই অসহায় বিধবার পরিবারের উপর হামলা চালায়। এভাবে গত কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন সময়ে অসহায় নাজমা বেগম ও তার মেয়েদের মারধর এবং বসত ঘরে হামলা চালিয়ে বসতভিটা থেকে উচ্ছেদের পাঁয়তারা করছেন প্রভাবশালীরা।
আব্দুল গনী গাজী গংদের এমন অমানবিক অত্যাচারে খুবই আতঙ্কের সাথে দিনযাপন করছেন অসহায় নাজমা ও তার পরিবারের লোকজন। প্রভাবশালী দের হাত থেকে রক্ষা পেতে প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করছেন ভুক্তভোগী পরিবারটি।
এ বিষয়ে অভিযুক্তদের সাথে কথা বলতে চাইলে তাকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে তার ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে তদন্তকারী অফিসার এস.আই বরকত উল্লা জানান, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি, তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রতিবেদক: শিমুল হাছান, ২৪ মার্চ ২০২২