চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজলোর ৩নং সুবদিপুর র্পূব ইউনয়িনরে উভারামপুর পাটোয়ারী বাড়িতে বার্ষিক ওরস ও দোয়ার মাহফিলের তবারুক খেয়ে প্রায় দেড় হাজার নারী-পুরুষ ও শিশু অসুস্থ হয়ে পড়ছে।
শুক্রবার ও শনিবার এই দুই দিনে কয়েক গ্রামের বাসিন্দারা জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে।
জানা গেছে, গত ৯ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার উভারামপুর পাটোয়ারী বাড়ির বার্ষিক ওরস ও দোয়ার মাহফলি অনুষ্ঠিত হয়। পরদিন সকালে
১১ জানুয়ারি শুক্রবার ওরস মাহফিলে তবররুক (তেহেরি : ডাল, গরুর মাংস, মসলা দিয়ে তৈরি) খায়। খাবার খাওয়ার ৪/৫ ঘন্টা পরে অনেকের বমি ও পাতলা পায়খানা শুরু হয়।
অসুস্থদের বেশীরভাগ নারী, পুরুষ ও শিশু প্রাথমিকভাবে হাসপাতালে ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় চিকিৎসা সেবা নিচ্চে।
জেলার মতলব দক্ষিণ উপজেলাার আর্ন্তজাতকি উদরাময় গবষেণা কেন্দ্রে (মতলব কলেরা হাসপাতাল) প্রায় ছয়শ রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে।
গত দুই দিনে রোগী বহনকারী সিএনজি চালক আবুল কাশেম জানান, মতলব হাসপাতালে প্রায় ত্রিশ জন রোগী নিয়েছি।
সিএনজি চালক মোর্রশেদ, সোহাগ, বকুল ও বিল্লাল জানান, আমরা এখন শুধু তাবারুক খাওয়া রোগী নিয়ে হাসপাতালে যাওয়া আসা করছি।
অসুস্থ কয়েকজন হলো উভায়রামপুর এলাকার কোহিনুর, রেনু, নুসরাত, শামছুন্নাহার। সাদ্রা মাদ্রাসার শিশু শিক্ষার্থীরা, সুরুঙ্গচাল গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী সাবিনা বেগম, চৗেরাঙ্গা গ্রামের আঃ হাইয়ে মেয়ে সুমাইয়া (১৬), শাহরাস্তরি ইদ্রছি মিয়ার ছেলে মোঃ হোসনে (৩৬), নাটহেরা গ্রামের মৃত আঃ হকের ছেলে আঃ সামাদ ও তার স্ত্রী মমতাজ (৩৬)। তাদেরকে মতলব কলেরা হাসপাতাল ও আলীগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে।
স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক আবু সাদেক কাশেম বলেন, দুই দিনে প্রায় তিনশতাধিক রোগীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছি।
অসুস্থতারাা বেশিরভাগ উভারামপুর, বাসারা, নুরপুর, ইসলামপুর, কাইতাড়া ও হাজীগঞ্জ উপজেলার শমশেপুর, প্রতাপপুর, সাদ্রা, রামচন্দ্রপুর গ্রামের।
মতলব কলেরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মোর্শেদ জানায়, সে তার স্ত্রী ও মেয়ে নিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে। সেখানে কয়েকশ রোগী চিকিৎসা নিয়ে গেছে। আবার কয়েকশ রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছে।
মাহফিল কমিটির সভাপতি নুরুল ইসলাম পাটওয়ারী বলেন, তেহেরী রান্নায় ব্যবহৃত পানি ও উপকরণ পরীক্ষা- নিরীক্ষার জন্য চাঁদপুর পাঠানো হয়েছে।
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১২ জানুয়ারি, ২০১৯
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur