চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে দুটি পৃথক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৩টি বসতঘর এবং ১টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ৪ পরিবারের প্রায় অর্ধ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
শুক্রবার (১৫ মার্চ)গভীর রাত (আনুমানিক ১ টার সময়) উপজেলার গোবিন্দপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের পশ্চিম লাড়ুয়া মহিলা মাদ্রাসার( মান্নানের দোকানের সামনে) তাকোয়া স্টোরে বিদেশ প্রেরত দুলালের মদি দোকানে ও একই দিনে সকাল (সাড়ে ৬টার সময়) রূপসা উত্তর ইউনিয়নের ঘোড়াশালা গ্রামের হাজী বাড়িতে তিনটি বসতঘরে এ অগ্নীকান্ডের ঘটনা ঘটে। এত প্রায় অর্ধ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। উভয়স্থানে সংবাদ পেয়ে ফরিদগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও হাইমচর ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুণ নিয়ন্ত্রণে আনে।
তাকোয় স্টোরের মালিক ক্ষতিগ্রস্থ দুলাল বেপারি জানান, ২৫ বছর প্রবাস জীবন কাটানোর পর গত ২ বছর পূর্বে বাড়িতে এসে মুদি দোকান দেই। পূর্বের মালামালের সাথে রমজান উপলক্ষে নতুন উঠানোসহ প্রায় দোকানে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকার মালামাল ছিল। রাত ১টার দিকে হঠাৎ করেই আগুণ লেগে আমার সব শেষ হয়ে গেছে। ফরিদগঞ্জ ও হাইমচর থেকে ফায়ার সার্ভিসের টিম আসলেও ততক্ষণে আমার পুরো দোকান ও মালামাল পুড়ে গেছে। আগুণে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকার মালামাল ও সম্পদ ভষ্মীভূত হয়েছে। কিভাবে অগুনের সূত্রপাত হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি রাতে দোকান বন্ধ করার সময় বিদ্যূতের মেইন সুইচ ও সকল ধরনেরর বিদূতের সংযোগ বন্ধ করে দিয়েছি। আমি দোকান বন্ধ করার দুই ঘন্টা পর আগুনের ঘটনাটি সন্দেহজনক। তিনি আরো বলেন, আমার দোকানে কেউ আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। আমি প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানাই, আমার দোকানে আগুনের ঘটনাটি খতিয়ে দেখলে সকল ঘটনা উদঘাটন হবে।
পাশের দোকানের মালিক বোরহান গাজী বলেন, রাত সাড়ে এগারোটায় দোকান বন্ধ করে বাড়ি যাই, এরপর স্থানীয়দের ডাক চিৎকারে রাত ১ টার সময় ছুটে এসে দেখি দুলাল বেপারির দোকানে আগুন জ্বলছে।
একই দিনের শুক্রবার সকালে রূপসা উত্তর ইউনিয়নের ঘোড়াশালা গ্রামের হাজী বাড়ির দিনমজুর খোরশেদ আলম খোকা, বিল্লাল হোসেন ও স্বামী পরিত্যক্তা লিলু বেগমের বসতঘরটি আসবাবপত্রসহ সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। ফলে ৩টি পরিবার সর্বশান্ত হয়ে খোলা আকাশের নিছে বসবাস করার উপক্রম হয়েছে। আগুণে অন্তত ১০ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের দাবী।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন বলেন, আগুনের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে খোজ খবর নিয়েছি। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার গুলো একেবারেই নিঃস্ব। রোজার সময় তাদের এমন সর্বনাশ নেমে আসায় চরম দুর্ভোগে পড়তে হলো।
রূপসা উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম কাউসারুল আলম জানান, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সহায়তার জন্য উপজেলা প্রশাসনের কাছে সাহায্য চাওয়া হবে।
ফরিদগঞ্জ ফায়ার সর্ভিসের দলনেতা মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, একই দিনে দুটি অগ্নিকান্ডের ঘটনার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হয়েছি। কিভাবে অগুনের সূত্রপাত হয়েছে জানাতে চাইলে তিনি বলেন, দুটি অগ্নিকান্ডই বিদূতিক শট থেকেই।
প্রতিবেদক: শিমুল হাছান, ১৫ মার্চ ২০২৪