ফরিদগঞ্জে ইউপি সচিব ও চেয়ারম্যান হুকুমে টিসিবির পন্য লুটের অভিযোগ

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে ইউপি সচিব ও চেয়াম্যানের হুকুমে টিসিবির পন্য লুটের অভিযোগ উঠে। এতে করে টিসিবির পন্য থেকে বঞ্চিত হয়েছে ১০১ জন কার্ডধারী। পন্য নিতে এসে ফিরে যেতে হলে এই সকল কার্ডধারীর। গত কয়েক মাসে টিসিবির পন্য বিতরণে এমন অভিযোগ কথা যানান স্থানীয়রা।

২০ নভেম্বর সকালে উপজেলার ফরিদগঞ্জ দক্ষিন ইউনিয়নে টিসিবির পন্য বিতরণকালে ইউপি সচিব ও চেয়ারম্যনের লোকজন এসে ১০১টি কার্ডের মালামাল নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন ডিলার। এসময় কার্ডকৃত লোকজন মাল না নিয়ে ফিরে যেতে হয়েছে।

ঘটনা সূত্রে যানা যায়, সারাদেশের ন্যায়ে ফরিদগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়নে টিসিবির পন্য বিতরন করছিলেন ডিলার। এসময় সচিবের স্বাক্ষরিত ও চেয়ারম্যানের হুকুমে পন্য বিতরন শেষ করার আগেই ১০১ জনের কার্ডে মালামাল নিয়ে যায়। মাল না থাকায় তালিকাকৃত লোকজন এসে ফিরে যেতে হয়।

জানা যায়, এই ইউনিয়নে ১০৯০টি কার্ডের মাধ্যমে পন্য বিতরনের কথা রয়েছে। কিন্তু সকাল থেকে ৯৮৯টি কার্ডে পন্য বিতরনে পর সচিবের স্বাক্ষরকৃত একটি কার্ডে ১৭টি মাল বাকী সকল মালামাল চেয়ারম্যানের নামে নিয়ে যায় তার লোকজন। এসময় কার্ড নিয়ে এসে ফিরে যেতে হয় ১০১জন কার্ডধারী। এতে করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয় ইউনিয়ন পরিষদের সামনে। পরে স্থানীয় লোকজন এসে বিষয়টি সমাধান করেন।

কার্ডধারী আইব আলী, নাছির উদ্দিন, ইউছুব, ফারজানা, আবুল কালাম, বিউটি, শাহিনুরসহ অনেকে বলেন, প্রতিমাসে চেয়ারম্যান ও সচিব মিলে টিসিবির পন্য নিয়ে যায়। অনেক কার্ডধারী এসে ফিরে যেতে হয়। আজ ও তার ব্যতিক্রম নয় সচিব ও চেয়াম্যান মিলে সকল মালামাল নিয়ে গেছে। আমরা মাল নিতে এসে ফিরে যেতে হচ্ছে। আমরা ভাড়া দিয়ে এসে এই ভাবে মাল না নিয়ে ফিরে যেতে হবে যানলে আসতাম না। আমাদের ভাড়ার টাকা দিয়ে দেক আমরা চলে যাই। চেয়ারম্যান ও সচিব যদি মাল নিতে হয় তা হলে আমাদের কার্ড দেওয়ার প্রয়োজন ছিল কি?

টিসিবির ডিলার জহিরুল ইসলাম বলেন, আমি সকাল থেকে মাল বিতরন করে আসছি। সচিবের স্বাক্ষরিত একটি ভিজিটিং কার্ডে ১৭টি মাল দেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি পরে আরো কয়েকজন চেয়াম্যানের লোক পরিচয়ে দিয়ে বাকী মালামাল নিয়ে যায়। সচিবকে জিঞ্জাসা করলে তিনি বলেন এরা চেয়ারম্যানের লোক। চেয়াম্যানের নির্দেশে নাকি তারা মালামাল নিয়ে যেতে এসেছে। আমরা কি করবো।

ইউপি সচিব আমির হোসেন মুঠোফোনে বিষয়টি শিকার করে বলেন, আমি চেয়ারম্যানের কথায় মাল দিতে বলেছি। আমি কি করবো।

ইউনিয়ন পরিষদের চেয়াম্যান আলমগীর হোসেন রিপন বলেন, আমি বলেছি বিতরণ শেষ হলে যদি কোন কার্ডের মাল থাকে সেই মাল রেখে দিতে যাতে অন্য মানুষকে দেওয়া যায়। এত মাল সচিব কেন নিতে দিলো আমি কথা বলে দেখবো।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌলী মন্ডল বলেন, আপনাদের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পারলাম। আমরা ঘটনাটি তদন্ত করে দেখবো।

প্রতিবেদক: শিমুল হাছান, ২০ নভেম্বর ২০২৩

Share