অ্যাপাসি-১৫০ সিসি (হাইড্রোলিক) নতুন মোটরসাইকেল ক্রয় ও নাম্বার সহ মো. শিপন মোল্লার ব্যয় হয়েছিলো আড়াই লক্ষ টাকা। গত ২৬ মার্চ রাতের আধাঁরে সংঘবদ্ধ চোরচক্র ওই মোটরসাইকেলটি বাড়ি থেকে চুরি করে নিয়ে যায়।
পরে অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওই চুরির সাথে জড়িত দুই জনকে আটক করতে সমর্থ হয়। আটককৃতরা আদালতে-১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দিয়েছে আড়ই লাখ টাকার মোটরসাইকেলটি তারা মাত্র ৫ হাজার টাকায় বিক্রি করে দিয়েছে।
অপরদিকে ফরিদগঞ্জে মোটরসাইকেল চোরচক্রের চিহ্নিত আরেক সদস্য জমির বেপারীকে আটক করেছে পুলিশ। গত ২৮ মার্চ সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করে।
জানা যায়, গত ২৬ মার্চ উপজেলার ৩নং সুবিদপুর ইউনিয়নের মো. শিপন মোল্লা নামে এক ব্যক্তির এপাসি মোটরসাইকেল রাতের আধারে চুরি হয়ে যায়। এনিয়ে ভুক্তেভোগীর মামা আ. রশিদ মেম্বার সংশ্লিষ্ট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রেক্ষিতে ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শাহ আলম ও এস. আই ওমর ফারুকের নেতৃত্বে পুলিশ ২৭ মার্চ মোটরসাইকেল চোর চক্রের সদস্য শরীফ ও শহীদকে আটক করে।
পরে আটককৃতদের আদালতে প্রেরণ করা হলে তারা ১৬৪ ধারায় জবানবন্দীদেয়। তাদের জবানবন্দী থেকে জানা যায়, জমির বেপারী তাদেরকে ৫’হাজার টাকার বিনিময়ে ভাড়া করে এবং মোটরসাইকেলের সকল তথ্য আদান প্রদান করার জন্য জাকির নামে আরো এক সহযোগীকে ব্যবহার করে।
২৬ মার্চ ভোর রাতে মোটরসাইকেলটি চুরি করে ওয়াপদা রাস্তার উপর জমির বেপারী আগে থেকে কন্ট্রাক করে রাখা রামগঞ্জের হুমায়ুন নামে এই চক্রের আরেক সদস্যের কাছে মোটরসাইকেলটি বুঝিয়ে দেয় । এসময় আমাদের দেওয়া হয় কন্ট্রাকটের ৫ হাজার টাকা ।
স্থানীয় লোকজন জানায়, ৫নং গুপ্টি ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের পূর্ব আষ্টা গ্রামের রাইতের বাড়ির অলি উল্যা বেপারীর ছেলে জমির বেপারী। তার পাশ্ববর্তী ৩নং সুবিদপুর ৬নং ওয়ার্ড তার মামার বাড়ী এলাকায় ২ বছর পূূর্বে মোটরসাইকেল ভাড়া ও গ্যারেজর একটি দোকান ভাড়া নেয়। অভিযোগ রয়েছে দোকান পরিচালনার আড়ালে জমির বেপারী পাশ্ববর্তী, আষ্টা, ভোটাল, তাম্রশাসন ও সুবিদপুর গ্রামে মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত।
এছাড়া সে মোটরসাইকেল চোর সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত। তালিকাভুক্ত মোটরসাইকেল চোরচক্র ও মাদক ব্যবসায়ী চক্রের সক্রিয় সদস্য জমির বেপারী ২০০৮ সালে সেনাবাহীনি ও পরবর্তীতে র্যাব অভিযানের সময় এলাকা থেকে সে গাঁ ঢাকা দেয়। এছাড়া চাঁদপুর ডিবি পুলিশ একাধিকবার অভিযান পরিচালনা করেও তাকে গ্রেফতার করতে পারেনি ।
এসর্ম্পকে মামলারবাদী ৩ নং সুবিদপুর কমিউনিটি পুলিশের সভাপতি আ. রশিদ মেম্বার এ প্রতিনিধিকে বলেন, জমির বেপারীর নেতৃত্বে আমাদের মোটরসাইকেল চুরি হয়। সে এলাকায় বিভিন্ন অপর্কমের জন্য একটি সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছে। সে জেলে বসে আমাদের হুমকি-ধামকি দিচ্ছে। এ বিষয়টি আমি মৌখিকভাবে মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে অবগত করেছি।
এই বিষয়ে মামলার তদন্ত র্কমর্কতা ফরিদগঞ্জ থানা এস. আই. ওমর ফারুক জানান, জমির একটি শক্তিশালী মোটরসাইকেল সক্রিয় দলের সদস্য। তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে মামলার গুরুত্বপূর্ণ তথ্যসহ চক্রটির সর্ম্পকে জানা যাবে।
এ সর্ম্পকে ৫নং গুপ্টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল গনি বাবুল পাটওয়ারী বলেন, যেহেতু চিহ্নিত মোটরসাইকেল চোরচক্রের দুই সদস্যকে আটকের পর আদালতে তারা ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে সহযোগীদের নাম বলেছে। এ ঘটনায় জমিরের সম্পৃকততা রয়েছে বলে আটকৃতরা দাবি করেছে।
প্রতিবেদক- আতাউর রহমান সোহাগ