শামসুল আলম | আপডেট: ০১:০৭ অপরাহ্ণ, ৩১ আগস্ট ২০১৫, সোমবার
চাঁদপুর ফরিদগঞ্জ উপজেলার টুবগি গ্রামে আগুনে বসতঘরসহ ৪টি সিএনজি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
৩১ আগস্ট সোমবার রাত পৌণে ৪টার সময় টুবগি গ্রামের তালুকদার বাড়ির সফিকুর রহমানের ছেলে মো. রিপনের বসতঘর ও সিএনজি গেরেজে এ অগ্নিকা- ঘটে।
অগ্নিকান্ডে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ২২ লাখ টাকা হবে বলে জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার। তবে অগ্নিকন্ডের বিষয়টি চাঁদপুর ফায়ার সার্ভিস উত্তর নিশ্চিত করে চাঁদপুর টাইমসকে জানান, বসতঘর, সিএনজি গেরেজ ও ৪টি সিএনজিসহ আগ্নিকান্ডে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৭ লাখ টাকা।
এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিস (উত্তর) ইন্সপেক্টর জানান, রাত পৌনে ৪টার দিকে অগ্নিকান্ড ঘটে। আমরা স্থানীয়দের বক্তব্য সূত্রে সিএনজির গ্যাস সিলিন্ডার লিক হয়ে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা করছি।”
বসতঘর, গেরেজ ও ৪টি সিএনজি পুড়ে যাওয়ার পরও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ফায়ার সার্ভিস ক্ষতিগ্রস্ত মালিকের দাবি থেকে অনেক কম নির্ধারণ করার বিষয়ে জানতে চাইলে এ কর্মকর্তা জানান, “যেহেতু সিএনজিগুলো নতুন নাকি পুরাতন, তা আমরা জানি না। তাই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আনুমানিক ৭ লাখ টাকা নথিভূক্ত করেছি।”
অগ্নিকা-ে ক্ষতিগ্রস্ত মো. রিপন তালুকদার জানায়, আমার বসতঘরের পাশে সিএনজি গেরেজ ভাড়া দেই, সেখানে গত ৪ বছর ধরে প্রতিনিয়ত ৪টি সিএনজি রেখে ভাড়া গ্রহণ করে আসছি। আমি রাত ১২টার দিকে ঘুমাতে যাই। রাতে যে কোনো এক সময় আমার শিশুটি চিৎকার দিলে জাগ্রত হই এবং ঘরের চারদিকে আগুন দেখতে পাই। আমি যাতে আগুনে পুড়ে মরি, এজন্য দুর্বৃত্তরা ৪টি দরজার মধ্যে ৩টি দরজা বাইরে দিয়ে বন্ধ করে দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। বাকি ১টি দরজা বাইরে দিয়ে বন্ধ করার সুযোগ না থাকায় আমার পরিবারসহ সে দরজা দিয়ে আমি বেরিয়ে যেতে সক্ষম হই। বের হয়ে দেখি আমার গেরেজসহ ৪টি সিএনজিতেও আগুনে দাউ দাউ করে জ্বলছে।’
দুর্বৃত্তদের বিষয়ে কাউকে সন্দেহ করেন কি-না? এমন প্রশ্নের জবাবে রিপন জানায়, “আমি ও আমার পরিববারবর্গ এ বাড়িতে একা থাকি, অনেকের সাথে শত্রুতা রয়েছে, তবে এ মুহূর্তে কাউকে সন্দেহ করতে পারছি না।”
এদিকে পুড়ে ছাই হওয়া সিএনজির ৪ মালিকও পুরো নিঃস্ব। ক্ষতিগ্রস্ত সিএনজির মালিকগণ হচ্ছে বাবুল তালুকদার (৪০), ইউসুফ আলী (৩৫), শরীফ পাটওয়ারী (৩০), সুফিয়ান (৩১)।
সোমবার সকালে ঘটনাস্থলে উপস্থিত ৪ সিএনজি স্কুটার মালিকের বক্তব্যে জানা যায়, স্থানীয় একটি সমবায় সমিতি থেকে ১২ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে তা সিএনজি ক্রয় করে। বর্তমানে তারা ওই ঋণ ও সংসার নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন।
অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ঘর, গেরেজ ও ৪টি সিএনজির ছাই ছাড়া কিছুই পাওয়া যায়নি।
চাঁদপুর টাইমস : এমআরআর/২০১৫