Home / উপজেলা সংবাদ / ফরিদগঞ্জ / ফরিদগঞ্জে অর্ধশত কৃষকের মাথায় হাত 
কৃষকের

ফরিদগঞ্জে অর্ধশত কৃষকের মাথায় হাত 

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে ১০ একর কৃষি জমি জলবদ্ধতার কারনে চাষাবাদ করতে না পেরে প্রায় অধ্যশত কৃষকের মাথায় যেন হাত পড়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার ৩ নং সুবিদপুর পূর্ব ইউনিয়নের চালিয়াপাড়া গ্রামের দশ একর কৃষি জমি জলবদ্ধতার কারনে এ বছর ইরি বোরো চাষাবাদ করতে পারেনি স্থানীয় কৃষকরা। 

মূলত পাশ্ববর্তী গুপ্টি পূর্ব ইউনিয়ন থেকে আসা ঘনিয়া বেপারী বাড়ীর সুলতানের ছেলে কামাল হোসেন ও মানুরি থেকে আসা আবু মজুমদারের বেড়ী বাঁধের কারনে এ ১০ একর জমি পানি বন্ধি হয়ে পড়ে আছে। তারা নতুন বাড়ী তৈরি করে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না করায় এ জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে বলে স্থানীয় কৃষকদের অভিযোগ। 

তাছাড়া মানুরী মনির মজুমদার, ডাক্তার বাড়ী, মানুরী দক্ষিন বেপারী বাড়ী থেকে আসা ইমান হোসেন,  আলমগীর, মন্টু মিয়া, খোরশেদ, মমিন ও সিরকালীয়া থেকে আসা রমজান আলী নতুন করে বাড়ী গড়ে তোলায় শনির খালের দুই পাশ ভরাট হয়ে পড়েছে। যে কারনে শনির খালটিতে পানি সরবরাহ না হওয়ায় সঠিক সময়ে চাষাবাদ করতে পারছেনা চালিয়াপাড়া ও মানুরী কৃষি মাঠের কৃষকরা।

চলতি ইরি বোরো মৌসুমে চালিয়াপাড়া মধ্যবর্তী কৃষি মাঠের প্রায় ১০ একর ফসলি জমি জলবদ্ধতার কারনে চাষাবাদ হচ্ছে না। গুপ্টি পূর্ব ইউনিয়নের মানুরী গ্রাম থেকে আসা কামাল হোসেন নামের এক ভূমিদস্যু জোরপূর্বক বাড়ী করে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না করায় বর্ষার পানি নামতে না পেরে এ জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে প্রায় ৫০ পরিবারের মাথায় হাত। প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করছেন স্থানীয় কৃষকরা। 

কৃষক ইসমাইল, আরিফ, কামাল, লোকমান, রশিদ মিয়া বলেন, আমাদের এ মাঠে ৫০ জন কৃষকের উপরে ফসলি জমি রয়েছে। কামাল হোসেন মানুরী গ্রাম থেকে এখানে এসে নতুন বাড়ী গড়ে তোলায় আমাদের এ মাঠের বর্ষার পানি জলবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। আমরা তাকে পানি সরবরাহের লাইন রাখার অনুরোধ করলেও কথা রাখেনি।

মাঠের স্ক্রীম ম্যানেজার কৃষক রমজান আলী বলেন, ইতিমধ্যে আমরা ফরিদগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে তিনি কৃষি অফিস থেকে অফিসার সরেজমিনে পাঠায়। কৃষি অফিসার জলাবদ্ধতা দেখে কামাল হোসেনকে পানি নামার জন্য লাইন দেওয়ার নির্দশনা দিলেও কোন পদক্ষেপ এখন পর্যন্ত নেয়নি।

ফরিদগঞ্জ উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা (ইউএনও) মৌলি মন্ডল বলেছেন, বিষয়টি সমাধানের লক্ষ্যে ইতিমধ্যে কৃষি কর্মকর্তাকে সরেজমিনে পাঠিয়েছি। পানি নিষ্কাশনের জটিলতা আসাকরি থাকবে না।

প্রতিবেদক: জহিরুল ইসলাম জয়,৩০ জানুয়ারি ২০২৪