শীর্ষ সংবাদ

ফরিদগঞ্জে অজ্ঞাত ‘প্রেমিকা সীমাকে’ চিঠি লিখে যুবকের আত্মহত্যা

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে মো. রাসেল হোসেন মামুন (২১) নামে যুবক নিজ ঘরের আড়ার সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। শুক্রবার (৯ মার্চ) পৌর এলাকার চতুরা গ্রামের সরকার বাড়ি থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

পুলিশ জানিয়েছে, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ দিকে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আত্মহত্যার পূর্বে ওই যুবকের লেখা দুই পাতার একটি চিঠি ও ইয়াবা সেবনের কিছু সরঞ্জামাদি উদ্ধার করেছে।

চিঠিতে যুবক তার মৃত্যুর সংবাদটি সীমা আক্তার নামে এক মেয়ের কাছে পৌঁছ দেওয়ার কথা উল্লেখ করে ওই মেয়ের মোবাইল নাম্বার লিখে যান। তবে তিনি তার মৃত্যুর জন্য নিজেই দায়ী বলে চিঠিতে উল্লেখ করেন।

সরেজমিনে গেলে স্থানীয়রা জানায়, পৌর এলাকার ৫নং ওয়ার্ডের চতুরা গ্রামের সরকার বাড়ির মৃত. আবুল বাশারের ছেলে মো. রাসেল হোসেন মামুন। তিনি পেশায় ছিলেন সিএনজি চালক। আবার কখনো পাইপ ফিটারের কাজ কিংবা হোটেল শ্রমিক হিসাবে কাজ করতেন। গত ৫ দিন পূর্বে তিনি ঢাকা থেকে বাড়িতে আসেন। এ সময় রাসেলের মা মরিয়ম বেগম ঢাকায় তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যান।

নিহতের মামী রীনা বেগম জানায়, সর্বশেষ বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে রাসেল রাতের খাবার খেয়ে বের হয়ে যায়। সে পাশ^বর্তী দোছালা (দুই ছাল বিশিষ্ট) ঘরে ঘুমাতো। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টার সময় রাসেলের বন্ধু কাউছারের মা হাজেরা বেগম তার ছেলের খোঁজ নিতে আসেন। খোঁজ নিতে গিয়ে ঘরের দরজা খুলে আড়ার সাথে রাসেলকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। পরে স্থানীয় লোকজন থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর প্রেরণ করেন।

এ সর্ম্পকে ফরিদগঞ্জ থানার এস আই মো. মোবারক হোসেন বলেন, প্রথমিক তদন্তে যুবক আত্মহত্যা করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এনিয়ে কেউ কোন লিখিত অভিযোগ করেনি।
এদিকে ঘটনাস্থলে পৌর মেয়র মাহফুজুল হক ও কাউন্সিলর খতেজা বেগম আলেয়াসহ শত শত উৎসুক জনতা ভিড় জমায়।

প্রসঙ্গত, নিহত যুবকের মা মরিয়ম বেগম দুই ছেলেকে নিয়ে পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া জায়গায় ছোট একটি ঘরে বসবাস করতেন। সন্তানদের মধ্যে রাসেল ছিলো ছোট।

প্রতিবেদক- আতাউর রহমান সোহাগ

Share