Home / উপজেলা সংবাদ / ফরিদগঞ্জ / ফরিদগঞ্জের সম্পত্তিগত বিরোধকে কেন্দ্র করে আহত ৪
ফরিদগঞ্জ

ফরিদগঞ্জের সম্পত্তিগত বিরোধকে কেন্দ্র করে আহত ৪

ফরিদগঞ্জ উপজেলার গুপ্টি ইউনিয়নের শ্রীকালিয়া গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে দুই বাড়ির লোকদের মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। দখল-পাল্টা দখল করতে গিয়ে প্রতিপক্ষের হামলায় মিন্টু সর্দার গংদের ৪ জন আহত হয়েছে। এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত তারা ফরিদগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, গতকাল ৭ এপ্রিল বুধবার দুপুরে উপজেলার ৫ নং গুপ্টি পূর্ব ইউনিয়ের ৩নং ওয়ার্ডের শ্রীকালিয়া গ্রামের মিন্টু সর্দারদের মালিকানাধীন সম্পত্তি রক্ষনাবেক্ষণ করতে গিয়ে হামলার শিকার হয় তারা। আহত মিন্টু সর্দার বলেন, ‘আমাদের প্রতিপক্ষ হাফেজ আব্দুল হাই মির্জা এবং সোহাগের নেতৃত্বে আনিছ, মনির, রুবেল, শহীদসহ মির্জা বাড়ির একদল লোক আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় রুবেল মির্জার দায়ের কোপে আহত হন মো. মিন্টু সর্দার (৪৯), ইটের আঘাতে আহত হন সাহাবুদ্দিন সর্দার (২৯), ইব্রাহিম খলিল (১৫) ও শিশু শাহপরানের (১০) পোশাকও রক্তে রঞ্জিত হয়েছে। এসময় প্রতিপক্ষ আমাদের লোকদের পকেটে থাকা নগদ পাঁচ হাজার সাতশত টাকা নিয়ে যায়। এছাড়া সাড়ে ১৪ হাজার টাকা মূল্যের দু’টি মুঠো ফোনও নিয়ে যায়।

তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের এই সম্পত্তি নিয়ে প্রায় ৮০ বছর ধরে বিরোধ। তারা এতদিন জোর করে আমাদের বসতভিটা ভোগদখল করে আসছে। এটা নিয়ে একাধিকবার সালিশি বৈঠক হয়। বার বার তারা চেয়ারম্যানসহ পঞ্চায়াতদের সিদ্ধান্তকে অমান্য করে। সর্বশেষ সম্প্রতি ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শহীদ হোসেন পরিস্থি পর্যবেক্ষণে করে উভয় বাড়ীর দুই মুরুব্বীকে চেয়ারম্যানের মাধ্যমে আপস মিমাংসা করার জন্য বলে আসেন কিন্তু মির্জা বাড়ির ফয়েজ মির্জা ইউনিয়ন পরিষদে উপস্থিত হননি।

ফলে ওসির দেওয়া বৈঠকটিও ভেস্তে যায়। তিনি উল্টো তরুণদের উসকিয়ে দিচ্ছে, প্রয়োজনে মারামারি, মামলা করে হলেও জায়গাটি দখলে রাখতে হবে বলে নির্দেশ দেয়।

সর্বশেষ সরকারি সার্ভেয়ারের মাধ্যমে তাদের উপস্থিতেই জমি মাপজোক হয়। এতে আমরা দলিল মতে বেশ কিছু জায়গা পেয়ে পিলার দিয়ে বেড়া নির্মাণ করি কিন্তু তারা বার বারই তা ভেঙ্গে ফেলে। আমরা সেই পিলার ঠিক করতে গেলে তারা আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।

ঘটনাকে কেন্দ্র করে মিন্টু সর্দার বাদী হয়ে সোহাগ, সহিদ, রুবেল, মনির, সেলিম, আনিছ, রিপন, মোহন, সৈয়দ, হাফেজ আব্দুল হাইসহ অজ্ঞাত আরো ৪/৫ জনকে বিবাদী করে ফরিদগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

সরেজমিনে গিয়ে এবং মোবাইলে চেষ্টা করেও প্রতিপক্ষ কাউকে পাওয়া যায়নি বলে তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

প্রতিবেদক:শিমুল হাছান,৭ এপ্রিল ২০২১