ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৬নং গুপ্টি পশ্চিম ইউনিয়নে ৪০ দিনের কর্মসৃজন প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। সরকারের পল্লীউন্নয়ন প্রকল্পের এ কর্মসৃজন কাজ বাস্তবায়ন করেছে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ।
প্রায় ১৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ইতিমধ্যে কয়েকটি ওয়ার্ডের গ্রামীণ রাস্তায় মাটি কাটা সম্পন্ন হয়েছে। ফলে চলাচলের ব্যবস্থা গতিশীল হয়েছে বলে জানায় স্থানীয় বাসিন্দারা।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সচিব অন্তু দে বলেন, ২০১৭-১৮ সালের কর্মসৃজন প্রকল্পের কাজ গুপ্টি পশ্চিম ইউনিয়নে কয়েকটি ওয়ার্ডের স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে।
এগুলো হচ্ছে ২নং ওয়ার্ডের দাস বাড়ী হতে ওসমান হাজী বাড়ী পর্যন্ত প্রায় ২লক্ষ ৮০ হাজার টাকার কাজ। ৪নং ওয়ার্ডের হামছাপুর পাকা রাস্তা থেকে গোলভান্ডার গেইট পর্যন্ত ৩লক্ষ ৫৭ হাজার টাকার কাজ।
৫নং ওয়ার্ডের খাজুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে পশ্চিম ষোলধানা সীমানা পর্যন্ত প্রায় ২লক্ষ ৮০ হাজার টাকার কাজ। ৬ নং ওয়ার্ডের হোগলী মৃধা বাড়ী থেকে ৫নং ওয়ার্ডের সীমানা পর্যন্ত প্রায় ২লক্ষ ৮০ হাজার টাকার কাজ।
৮নং ওয়ার্ডের মান্দারতলী হইতে রূপসা ব্রিজ পর্যন্ত ২লক্ষ ৪৫ হাজার টাকার কাজ। প্রথম পর্যায়ে এসব ওয়ার্ডে সব মিলে প্রায় ১৫ লাখ টাকার মাটি কাটার কাজ ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।
এ বিষয়ে গুপ্টি পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম ভঁইয়া বলেন, স্থানীয় ইউপি সদস্যদের প্রকল্পের সভাপতি করে উক্ত কাজ ভাগ করে দিয়েছি।
তবে আমি কাজ চলমান অবস্থায় উক্ত স্থানগুলোতে একাধিক বার সরেজমিনে গিয়েছি যেন কোন অনিয়মের চেষ্টা করা না হয়। সেই সাথে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আওরঙ্গজেব কাজ বুঝে নিয়ে দুই ভাগে শ্রমিকদের বিল দিয়েছেন।
বর্তমানে স্থানীয় বাসীন্ধরা বর্ষার পূর্বেই এসব রাস্তায় মাটি ফেলার কারনে সন্তুষ্ট প্রকাশ করে বলেন, বর্তমান সরকারের সময়ে যেসকল উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে তা অতিতের কোন সরকারের সময়ে বাস্তবায়ন হয়নি। এ জন্য স্থানীয় চেয়ারম্যানকে ধন্যবাদ ও কতৃজ্ঞতা প্রকাশ করছি সঠিক সময়ে রাস্তায় মাটি কেটে চলাচলের পথ সুগোম করার জন্য।
করেসপন্ডেন্ট