স্বাধীনতার পর থেকে কেবল আশ্বাস নিয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায় বিদ্যুৎবিহীন একাধিক গ্রামের হাজারও মানুষ।
সময়ের স্রোদে দেশ যখন বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত তখন বর্তমান সরকারের প্রচেষ্টায় যে সকল এলাকায় বিদ্যুৎ নেই তা বাস্তবায়নে স্থানীয় নেতৃবৃন্দের সহযোগিতায় জনপ্রতিনিধিরা কাজ করে যাচ্ছেন।
আর এ সুযোগে সরকারদল পরিচয়দানকারী কিছু নেতা বিদ্যুৎ দেয়ার নাম করে মিটার গ্রহীতাদের কাছ থেকে লাখ-লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ধরনের অভিযোগ রয়েছে ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৫নং গুপ্টি পূর্ব ইউনিয়নের গুপ্টি গ্রামের ৩৬০ জন মিটার গ্রাহকের ।
জানা যায়, গত ৩ বছর পূর্বে স্থানীয় সাংসদ ড.মোহাম্মদ সামছুল হক ভূঁইয়া’র ডিও লেটারের মাধ্যমে প্রায় ৫ কিলো. কাজটি গুপ্টি গ্রামে আসে।
পরে ওই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের তৎকালীন সভাপতি আব্দুল গনি পাটওয়ারী বাবুল তদারকির জন্য দায়িত্ব দেন পশ্চিম গুপ্টি ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি মোস্তফা পাটওয়ারী,সদস্য শ্রী কৃষ্ণ, ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সোরয়ার হোসেনসহ বেশ কিছু আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দকে।
ভুক্তভোগী গ্রাহকদের অভিযোগ, তারা এ সাড়ে ৫কি.মি. বিদ্যুৎ সংযোগ কাজের মধ্যে ৩৬০ টি মিটার থেকে এ যাবত প্রথম, দ্বিতীয় এবং কারও কাছ থেকে এক বারই প্রতি মিটারে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা করে উত্তোলন করেছে।
বাড়ি প্রতি একজন করে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে টাকা উত্তলনের জন্য।
এদের চৌকিদার বাড়িতে ২৫ টি মিটারের টাকা উত্তোলন করেন আব্দুর রশিদ গাজী, পাটওয়ারী বাড়ির ৩০ টি মিটারের টাকা উত্তোলন করেন সাহেব আলী পাটওয়ারী, কালামিয়া বেপারী বাড়ির ১২ মিটারের টাকা উত্তোলন করেন শরিফ হোসেন, সম্য মাস্টার বাড়ির ১০ টি মিটারের টাকা উত্তোলন করেন নিজামউদ্দিন। বেপারী বাড়ির টাকা উত্তোলন করেন আলাউদ্দিন। পুরাণ বাড়ি, দে বাড়ি, বৈষ্ট বাড়ির প্রায় ৩৫টি মিটারের টাকা উত্তোলন করেন যুবলীগ নেতা সোরয়ার। সূত্রধর পাড়ার ৫ টি বাড়িতে প্রায় ১শ মিটারের টাকা উত্তোলন করেন পরীক্ষিত, শ্রী কৃষ্ণ ও সন্তু আমিন।
এ বিষয়ে স্থানীয় গ্রাহক রিপন মিয়া, জাকির হোসেন গাজী, চন্দন মিয়া, বাবুল পাটয়ারী, হাবিবুর রহমান, ওহিদ উল্ল্যাহ, ইউসুফ গাজীসহ অন্তত অর্ধশত গ্রাহকের বক্তব্যে জানা যায়, গত ৩ বছর ধরে বিদ্যুৎ পাবে বলে তারা কিস্তি হিসেবে টাকা দিয়ে যাচ্ছেন, কিন্তু বিদ্যুৎতের খুটি ছাড়া অন্য কোন পদক্ষেপ নেই। যারা গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা নিচ্ছে তাদের লোক ব্যতিতো ঘরের ওয়ারিং কাজ করা যাবে না বলেও জানিয়ে দেয়।
এছাড়া তাদের এসব অনিয়মের কথা যদি কোথায় বলে তাহলে বিদ্যুৎ দেয়া হবে না এবং হুমকি দুমকি দিয়ে গ্রাহকদের অনেকটা চুপ রাখা হয়েছে।
এসব অনিয়মের বিষয়ে অভিযুক্ত ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি মোস্তফা পাটওয়ারী ও ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সোরয়ারের সাথে জানতে চাইলে তারা চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, ‘বিদ্যুৎ অফিসে খরচ রয়েছে সে তুলনায় আমরা গ্রাহকদের কাছ থেকে কিছু টাকা নিয়েছি। তবে সহসায় এমপি স্যার আমাদের এ লাইন চালু করবেন বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন।’
এ সংক্রান্ত আরেকটি প্রতিবেদন- দেখুন
ফরিদগঞ্জে নতুন বিদ্যুৎ সংযোগের নামে দাললচক্রের হরিলুট
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৫ : ৪০ পিএম, ২৮ মে ২০১৭, রোববার
ডিএইচ