ফরিদগঞ্জ

শিক্ষাক্ষেত্রে নূন্যতম দুর্নীতি সহ্য করবো না : ফরিদগঞ্জে দুদক চেয়ারম্যান

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার কৃতি সন্তান, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, দুর্নীতি দমন কমিশনে প্রায় অভিযোগ আসে, প্রাথমিক পর্যায়ের অনেক শিক্ষক স্কুলে না গিয়ে বেতন নেন।

অপরদিকে শিক্ষা কর্মকর্তারা শিক্ষকদের ছুটি মঞ্জুরসহ বিভিন্ন প্রশাসনিক কাজের জন্য ঘুষ নেন। প্রাথমিক শিক্ষাক্ষেত্রে এ অবস্থা চলতে থাকলে দেশে শিক্ষাক্ষেত্রে কোন টেকশই উন্নয়ন হবে না। দুর্নীতি দমন কমিশন শিক্ষাক্ষেত্রে নূন্যতম অনিয়ম-দুর্নীতি আর সহ্য করবে না।

বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রæয়ারি) ফরিদগঞ্জে দুর্নীতিমুক্ত সরকারি সেবা ও দুর্নীতির অভিযোগের প্রকৃতি শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ এসকল কথা বলেন। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তে ওই মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।

তিনি বলেন, কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শরীক্ষার ফরম পূরণে অতিরিক্ত টাকা নিলে ও প্রধান শিক্ষকগণ স্কুল সময়ে উপজেলা অফিসে আসলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক ও বিভাগীয় প্রধানের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে । উচ্চ শিক্ষা বিশেষ করে প্রাথমিক শিক্ষায় দুর্নীতি হলে দেশ ও জাতি ধ্বংস হয়ে যাবে। তাই প্রাথমিক ও উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষা ক্ষেত্রে দুর্নীতি কঠোর হস্তে দমন করা হবে।

দুদক চেয়ারম্যান কোচিং বাণিজ্য সর্ম্পকে বলেন, যদি সময়মত শিক্ষকরা স্কুলে আসেন এবং সময়মত স্কুল ত্যাগ করেন তাহলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কোচিং বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যাবে। এছাড়া দুর্নীতি দমন কমিশন কোচিং এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশনা দিয়ে তিনি বলেন, উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও কোন কোন নেতার বিদ্যালয়ে আগমন উপলক্ষে ছাত্র-ছাত্রীদের শ্রেণি কক্ষের বাইরে রোদে দাঁড় করিয়ে তথাকথিত সংবর্ধনা দেয়া হয়। আগামিতে কোনোভাবেই এই কাজটি করতে দিবেন না।

শিক্ষার মান প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, সঠিক শিক্ষার অভাবে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম জনসম্পদের পরিবর্তে জনআপদে পরিণত হচ্ছে। সঠিক উদ্যোগ নেওয়া হলে আমাদের এই শিক্ষার্থীরাই জনসম্পদে পরিণত হবে।

সরকারি বিভিন্ন দপ্তর সর্ম্পকে তিনি বলেন, স্থানীয় ভূমি অফিস, এলজিইডি, সাব-রেজিষ্ট্রি অফিস, হাসপাতালসহ দপ্তরগুলোতে সরকারি সেবা বৃদ্ধিসহ দুর্নীতিমুক্ত করার উদ্যোগ নিতে হবে। বিশেষ করে রাস্তা নির্মানে গুণগত মান না দেখেই এসও’রা কমিশনের বিনিময়ে ফাইলে সই করে দিচ্ছে। তা ছাড়া টেন্ডার বাণিজ্যতো হচ্ছেই। এসকল অনিয়ম রোধে কার্যকরী ব্যবস্থা নিতে হবে।

মতবিনিময় সভায় অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক আব্দুস সবুর মন্ডল, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সাহেদ সরকার, উপজেলা নির্বার্হী কর্মকর্তা এ এইচ এম মাহফুজুর রহমান, পৌর মেয়র মাহফুজুল হক, ভাইস চেয়ারম্যান ওয়াহিদুর রহমান রানা, উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ইয়াছিন হোসেন শিমুল, প্রেস ক্লাবের সভাপতি মো. মহিউদ্দিন, ইউপি চেয়ারম্যান ও সরকারি বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা প্রমুখ।

পরে তিনি চরবড়ালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সাহেবগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়, হাঁসা উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ ও শ্রেণিকক্ষে গিয়ে শিক্ষাথীদের উদ্দেশ্যে উপদেশ মূলক বক্তব্য দেন।

আতাউর রহমান সোহাগ
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১০:০৩ পিএম, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, বৃহস্পতিবার
ডিএইচ

Share